২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশে, চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের।এদিকে এত চাকরি বাতিলের পর রাজ্যের স্কুলগুলো চলবে কীভাবে? উদ্বেগে পর্ষদ।মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল,
ন্যাচারাল জাস্টিসের জন্য সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে, সেটা ফিজিক্যালি হতে পারে, হলফনামার মাধ্যমে হতে পারে। এক্ষেত্রে সেই হলফনামা নিশ্চই পড়া হয়েছে, সেটা আমি জানি না। এই বিষয়গুলো আমাদের আইনি বিভাগ দেখবে। প্রাথমিকভাবে যতটুকু বুঝতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে।
আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা ফাইল করতে পারি।” তিনি বলেন, “এত মানুষের কালকে থেকে স্কুলে যাওয়া বা না যাওয়া, স্কুল পরিচালনা করা, পঠন পাঠন ব্যবস্থা, সবটাই দেখা-বোঝা বোর্ডের দায়িত্ব। স্কুলগুলো কীভাবে চলবে, সেটা আমাদের নজর রাখতে হবে। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন রাখব।”
তিনি আরও বলেন, “একজনও নির্দোষ প্রার্থী বঞ্চিত না হন, তার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব, ন্যায়ের পথে আজকের রায় গ্রহণ করতে না পারার কারণ শীর্ষ আদালতে পেশ করতে পারব।” অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি চলে যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে ভোটকর্মী হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছেন।
তাঁদের যদি চাকরি চলে যায়, তাহলে ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করবেন কারা? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।সোমবার হাইকোর্টের রায় ঘোষণার সময় বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীও আদালতে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘এদের মধ্যে অনেকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজে গিয়েছেন।’
এই অবস্থায় তাই স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের কাজ করেছি, এটা আমাদের ভাবার নয়।’ হাইকোর্টের এদিনের রায়ের পর কি তাহলে ভোটকর্মীদের অভাব দেখা দিতে পারে?
যদিও এই বিষয়টি খোলসা করেছেন নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, প্রয়োজনে রিজার্ভ ভোটকর্মীদের ব্যবহার করা হবে। কোনও অসুবিধা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘যে ভোটকর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের বেশ কিছুটা অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন।
কিন্তু আমাদের মোট যত সংখ্যক ভোটকর্মী থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভোটকর্মী বেছে রাখা থাকে। যাতে ২০-২৫ শতাংশ রিজার্ভ ভোটকর্মী থাকেন। যদি কিছু ভোটকর্মী আসতে না পারেন, সেক্ষেত্রে রিজার্ভ থেকে তা পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।’