বিশ্ব সমাচার, কাকদ্বীপ ও বারুইপুর : বুধবার রাতে ক্ষণিকের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল কাকদ্বীপ ও রায়দিঘি। ঘটনাটি ঘটেছে, কাকদ্বীপের রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় ও মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহব্বতনগর এলাকায়। ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। পানের বরজ ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে।
বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।কাকদ্বীপের রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শুভজিৎ মন্ডল বলেন, “এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি বুথই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হালিশহর, শিক্ষা ভবন ও গোপালনগর। বাকি বুথ গুলিও কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১০০টি পানের বরজ পড়ে গিয়েছে।
বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। কাঁচা ও পাকা মিলিয়ে প্রায় ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু পাকা বাড়ির চালের এ্যাডবেস্টার উড়ে গিয়েছে। প্রায় ৬০টি ইলেকট্রিকের পোস্ট ভেঙে পড়েছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে দ্রুত সরকারি সাহায্য পান তার ব্যবস্থা করা হবে।”
অন্যদিকে রায়দিঘিতেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। গোয়ালঘর ভেঙে দুটি ছাগল সহ একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৬০ থেকে ৭০ টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
৩০ টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। প্রশাসন সহ এলাকার মানুষজন মেরামতের কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালেই এলাকায় যান বিধায়ক ডঃ অলোক জলদাতা। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়ক বলেন, “এই মানুষগুলি যাতে দ্রুত সাহায্য পায় তার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের অনুরোধ করব।
বিদ্যুৎ পরিসেবা ঠিক করার চেষ্টা চলছে।” জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরিষ্কার হবে।”