Saturday, May 4, 2024
spot_img
Homeরাজ্যফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

ফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে জেল খাটছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। শনিবার কলকাতার বিচার ভবনে তাঁর মামলার শুনানি ছিল। এদিন আদালতে মানিকের আইনজীবী বলেন, প্রাথমিকে ৩২৫ জন ফেল করা প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য বলে ইডি অভিযোগ করেছেন।

ফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে মানিক নিয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা। এমনকী ১৬,৫০০ জনের প্যানেলে ওই ফেল করা প্রার্থীদের নাম রয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে। তাহলে সেই ৩২৫ জনের রেজাল্ট দেখাক ইডি।প্রাথমিকে যে ৩২৫ জন ফেল করা প্রার্থীকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে সেই সংক্রান্ত কোনও নথি নেই ইডি আধিকারিকদের কাছে।

ফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

ওই প্রার্থীরা যে সত্যিই ফেল করেছেন তা আদালতে ইডিকে প্রমাণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে মানিক। পালটা ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্তের দায়িত্ব ইডির নয়। ইডি শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করে। দুর্নীতি কী ভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব সিবিআইয়ের। সিবিআই-ই তাদের এই তথ্য দিয়েছে।

ফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

এছাড়া এখনো পর্যন্ত ৭ কোটি বেআইনি টাকার হদিশ পেয়েছে ইডি।ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে এর পর বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‘এই ৩২৫ জনকে যে পাশ করানো হয়েছে, রেজাল্ট ছাড়া আপনারা সে কথা কী করে বলছেন?’’ ইডি আদালতে জানায়, এই সংক্রান্ত তদন্ত সিবিআই করছে।

ফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

তাঁরা কেবল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়গুলি দেখছেন। ইডির এই যুক্তি শুনেই বিচারকের উদ্দেশে মানিকের বক্তব্য, ‘‘আমার খুব সাধারণ আবেদন হুজুর। সত্যিটা খুঁজে বার করা হোক।’’ আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মানিক বলেন, ‘‘ওরা বলছিল ৩২৫ জনকে বেআইনি ভাবে পাশ করানো হয়েছে।

ফেল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের রেজাল্ট দেখানোর আবদার মানিকের

আমি তথ্য এবং প্রমাণ দেখতে চেয়েছিলাম। ইডি আদালতে বলল, তাদের কাছে তথ্যও নেই প্রমাণও নেই। ওরা পাশ করেছে কি ফেল করেছে, ইডি জানে না। ওদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরা তদন্তই করেনি।’’

Most Popular