Wednesday, May 8, 2024
spot_img
HomeUncategorized৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

গোপাল মন্ডল, বিষ্ণুপুর : নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে কয়লা কেলেঙ্কারি, একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক পড়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও। যা নিয়ে একাধিকবার তোপও দাগছে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সেনাপতিকে। এদিকে বছর ঘুরতেই লোকসভা নির্বাচনা। সলতে পাকানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে রাজ্যে।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

এরইমধ্যে ইডি-সিবিআই নিয়ে ফের একবার বিজেপির তুলোধনা করলেন অভিষেক। শুক্রবার ফলতার ফতেপুর হাইস্কুলের ফুটবল মাঠে একটি বস্ত্র বিতরণী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘ কয়লা পাচার মামলাতে ছুঁতে না পেরে আমায় এখন এসএসসি মামলায় ডাকাডাকি করছে। শুধু আমাকে নয়। আমার স্ত্রী, বাবা, মা— কাউকে বাদ দিচ্ছে না। আমি আবার বলছি।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

আমার অবস্থান এক। আমার বিরুদ্ধে এক পয়সার দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। গলা কেটে দিলেও তৃণমূল জিন্দাবাদ আর জয় বাংলা বার হবে।’’ অভিষেকের দাবি, এই বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু তাঁকে ইডি তলব করায় তাঁকে কর্মসূচি পিছিয়ে দিতে হয়।অভিষেক বলেন, ‘‘যে দিন কর্মসূচি থাকছে, সে দিনই আমায় ডাকছে। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ডেকেছিল। সে দিন দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র (সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট) সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

সে দিন আমায় ডেকেছিল। বৈঠকে না গিয়ে আমি হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। তার পর ৩ অক্টোবর দিল্লিতে যে দিন আমাদের বকেয়া আদায়ের দাবিতে কর্মসূচি ছিল, সে দিন হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছিল। সে দিন আমি যাইনি। কারণ বাংলার মানুষের অধিকার আদায় আমার কাছে বড় ছিল। তার পর যখন আমি রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি করছি, তখন আবার ডেকে পাঠায়।’’

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

তৃণমূল সাংসদ স্পষ্টই বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে বিজেপি নানাভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু, আমরা মাথা নত করব না।” এদিকে, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। আর সেই ভোটযুদ্ধে এ রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র হতে চলেছে ডায়মন্ড হারবার। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কে লড়বেন, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নওশাদ সিদ্দিকির নাম উঠে আসছে। আর তাঁকে সেখানে সমর্থন জানানোর ইঙ্গিত মিলেছে সবকটি বিরোধী শিবিরের তরফে। এমন পরিস্থিতিতে নাম না করে রাজনীতির ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অভিষেক স্বাগত জানিয়ে বলেন, ”শুনছি কেউ কেউ চাইছেন ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়াতে। সে দাঁড়াক। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেও দাঁড়াতে পারে। এটা তো গণতন্ত্র। শুধু আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

৩ লক্ষ ২১ হাজার এর ব্যবধান এবার চার লক্ষে নিয়ে যান। ফলতার ব্যবধান এবার ৪৫০০০ থেকে ৭০ হাজার করতে হবে আপনাদেরই। ওরা যেই দাঁড়াক, ভোকাট্টা হয়ে যাবে, উড়ে যাবে।”এদিন সিপিএমকেও একহাত নিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, সিপিএমও সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে অভিষেককে ভোটে হারাতে চেয়েছিল। সিপিএম ও বিজেপিকে এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ”যারা সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে হারাতে চেয়েছিল, তাদের কী করুণ পরিণতি দেখুন।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

তাদের নামও আজ কেউ মুখে আনে না।টাকা নিয়ে সেটিং, ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করা একজন জনপ্রতিনিধির কাজ নয়। তাঁদের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।আমি যতদিন আছি, এখানে কোনওদিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেব না।” এছাড়াও এদিন বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবার নতুন ঘোষণা করলেন অভিষেক।অনেক বৃদ্ধা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন অভিষেকের কাছে। সেই তালিকা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করেন সাংসদ।

৭০ হাজার বৃদ্ধকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা অভিষেকের

তারপর সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০ হাজারে। এই বিষয়ে এলাকার সাংসদ অভিষেক সভা থেকে বলেন, ‘‌২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৭০ হাজার বৃদ্ধ মহিলাকে আর্থিক সহায়তা দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। সরকার যখন দেবে সেটা আলাদা বিষয়। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমরা এই কাজ করব। কারণ আমাদের একটাই ধর্ম, মানবধর্ম। মানুষের মধ্যে বিভাজন, টাকা আটকে রাখা, দাঙ্গা লাগানো নয়। এখানে ধর্মে বিভাজন করতে পারেনি। আমি যতদিন থাকব করতে পারবে না বিজেপি।’‌

Most Popular