বিশ্ব সমাচার, গঙ্গাসাগর : ডিসেম্বর মাস কাটলেই শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। শুক্রবার গঙ্গাসাগর মেলা অফিসে অনুষ্ঠিত হল তারই শেষ পর্যায়ের সমন্বয় বৈঠক। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিলীমা মিস্ত্রী বিশাল,
সহকারী সভাধিপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। মেলার প্রস্তুতি নিয়ে এদিন বিস্তর আলোচনা করা হয়। বিশেষত মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিং – এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ড্রেজিং – এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
তবে ড্রেজিং – এর চ্যানেলের কাজ অতীতের থেকে এবছর খুব সুন্দর ভাবে হচ্ছে বলে জানান, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী।
এছাড়াও চেমাগুড়ি এবং বেনুবনেও ড্রেজিং – এর কাজ চলছে। ডিসেম্বরেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। অতীতের মত এবছরও ভেসেলে গুলিতে জিপিএস মেশিন বসিয়ে ট্র্যাকিং করা হবে।
তবে এবছর ভেসেল গুলিতে নতুন একটি অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভেসেল গুলি নদীর চ্যানেল চিহ্নিত করে যাতায়াত করতে পারবে। কোন ভাবে যদি ভেসেল গুলি বিপথে চলে যায়, তাহলে কন্ট্রোল রুম তা জানতে পারবে। নদীতে ভেসেল চলাচলের রাস্তায় কুয়াশার কথা মাথায় রেখে, ফগলাইট লাগানো হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুয়াশার কথা মাথায় রেখে এই বছর মুড়িগঙ্গা নদীতে থাকা ইলেকট্রিক টাওয়ার ও ভেসেল গুলিতে প্রায় ৬০০টি ফগ লাইট, লেজার লাইট সহ ৫ রকমের লাইট লাগানো হবে। এমনকি বিমানবন্দরে যে মুভিং লাইট লাগানো থাকে, সেই লাইটও লাগানো হবে।
তবে অতিরিক্ত কুয়াশা হলে তখনই এই লাইট জ্বালানো হবে। এছাড়াও কুয়াশায় ভেসেল চলাচলের জন্য অত্যাধুনিক ফগ লাইট অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে আসা হবে। যদিও এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় অতীতের মত সব ব্যবস্থাই থাকছে। এবিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে।
বিগত বছরের সমস্যা গুলিকে মাথায় রেখে এবছর সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রেজিং -এর কাজও জোর কদমে চলছে।
অন্যদিকে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, এবছর গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রতিটি পয়েন্টেই পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে।এদিন বৈঠকের শেষে প্রশাসনিক আধিকারিকরা গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের সামনের সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখেন। সমুদ্র সৈকতে মাটি ফেলে নতুন করে বাঁধানোর কাজ চলছে।
