স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মঘটের পরের দিন স্কুলে পৌঁছতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন ধর্মঘটী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে দেখা গিয়েছে এই ছবি।শুক্রবার ধর্মঘটের পর, শনিবার হুগলির বলাগড়ের মিলনগড় জিএসএফ প্রাথমিক স্কুলে গিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগ, তাঁদের স্কুলে ঢুকতে দেননি অভিভাবকদের একাংশ।অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে স্কুলের সামনে দীর্ঘ ক্ষণ গাছতলায় বসে ছিলেন শিক্ষকরা। এর পর খবর দেওয়া হয় বলাগড় থানায়।
পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দেন। স্কুলে ঢোকেন শিক্ষকরা। স্কুলের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ হয় উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের রাজীবপুর এভি হাই স্কুলে। সেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে বিক্ষোভে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদেরও। যদিও অশোকনগরের যুব তৃণমূল নেতা প্রদীপ সিংহ জানান, তাঁরা বিক্ষোভে ছিলেন না, ঘটনার খবর পেয়ে এসেছেন। স্কুলের প্রধানশিক্ষক বরেনকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ধর্মঘটকে সমর্থন করায় তাঁরা স্কুলে যাননি শুক্রবার। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
হাওড়ায় ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপড়দহ নোনাকুণ্ড মহাদেব বিদ্যামন্দিরের শিক্ষকদের ঘিরে শনিবার বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে ডোমজুড় থানার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ছবি দেখা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। সেখানে শিক্ষকদের স্কুল থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে।এদিকে, কাঁথিতেও শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের ডাকা একদিনের ধর্মঘটে শামিল হওয়ায় এবার ‘বহিরাগত’দের রক্তচক্ষুর কোপে পড়লেন রামনগর ১ ব্লকের খাদালগোবরা জুনিয়ার বেসিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
অভিযোগ, শিক্ষকদের প্যান্ট খুলে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার নিদান দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের স্কুলের বাইরে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের দাবি, ধর্মঘট সফল হওয়ায় প্রতিহিংসার পথে নেমে শনিবার ‘বহিরাগত’দের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়৷
তবে ১১টা ৪০ মিনিটের পর অভিভাবকরা গিয়ে বহিরাগতদের স্কুল খুলতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তাঁরা পিছু হটে বলে দাবি শিক্ষকদের।বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির নরেন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই পরিস্থিতি।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর গাছতলায় দাঁড়িয়েই ছাত্রছাত্রীদের একপ্রস্ত পড়ান শিক্ষক সুব্রত সেন।