স্টাফ রিপোর্টার: বীরভূমের দেউচা পাচামি দেশের সব থেকে বড় কয়লা খনি হতে চলেছে। এই কাজটি করছে রাজ্য সরকার। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে এলাকার আদিবাসী এবং অন্যান্য মানুষজনকে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গরিবের ভাত মেরে কখনও কোনও কাজ করিনি। দেউচা পাচামি, মহম্মদবাজারের মানুষের আমার প্রতি যদি আস্থা থাকে তাহলে বলব, একজন মানুষও বঞ্চিত হবেন না। জমির বর্তমান মূল্যের দ্বিগুণ দাম ও চাকরি দেওয়া হবে জমিদাতাদের। মনে রাখবেন জবরদস্তি করে আমি কোনও কাজ করি না।
কিছু খাদান মালিক ব্যক্তিস্বার্থে বাধা দিচ্ছে। তাদের বেআইনি খাদান বন্ধ হওয়ায় তারা বিভ্রান্ত করছেন। আমরা জমির বদলে জমি দিচ্ছি বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।’এদিন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন ক্যাবিনেট বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি জানাতে। তখন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী জানান, ‘জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ দাম দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁদের প্রথমে ৬০০ স্কোয়ার–ফিটের উপর বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এখন ঠিক হয়েছে, ৭০০ স্কোয়ার–ফিট জমির উপর বাড়ি বানানোর টাকা দেব। তাঁরা নিজেরা বাড়ি তৈরি করে নেবেন।
এছাড়া আর্থিক সহায়তা মূল্য ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ড, কনস্টেবলের চাকরি দেওয়া হবে। এমনকী যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবেন সকলে। খাদান মালিকদের জন্যও নির্দিষ্ট প্যাকেজ রয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘প্রায় লক্ষাধিক ছেলে–মেয়ের চাকরি হবে। পাঁচটা রাজ্যের হাতে ওই প্রকল্প ছিল। আমরা অনেক লড়াই করে ওই প্রকল্প ছিনিয়ে এনেছি।
এই প্রকল্পটি কার্যত ৫ রাজ্যের সঙ্গে লড়াই করে আমরা ছিনিয়ে এনেছি। কোনও দখলদারি করছি না। দেউচা–পাচামি কয়লা ব্লক তৈরি হলে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। আর বিরোধীরা শুনে রাখুন, আপনারাও দায়ী থাকবেন চাকরি ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার জন্য।’