Tuesday, May 7, 2024
spot_img
Homeরাজ্যবিরোধীদের 'চাকরিখেকো মানুষ' তোপ মমতার

বিরোধীদের ‘চাকরিখেকো মানুষ’ তোপ মমতার

এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। আদালতের বারবারই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারও একই ইস্যুতে আরও সুর চড়ালেন তিনি।বিরোধীদের ‘চাকরিখেকো মানুষের’ সঙ্গে তুলনা করেন মমতা।শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবের সমর্থনে পিংলায় প্রচারে গিয়ে মমতা বলেন, “মানুষখেকো বাঘ দেখেছেন? গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে এটা প্রচলিত কথা। আমি বলব, চাকরিখেকো মানুষ দেখেছেন? বিজেপি, সিপিএম সেটাই। ২৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি খেয়ে নিল!” তিনি আরও বলেন, “আপনারা চাকরি খেলেন, তার পর বলছেন যে বেতন পেয়েছেন, তা ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। যিনি এই রায় দিয়েছেন, তাঁর আমি নাম করছি না। কিন্তু তাঁর যদি সারাজীবনের সব কিছু চলে যায় আর বলা হয় সব টাকা ফেরত দাও। তা হলে পারবেন? যখন ইচ্ছে হল সকলের চাকরি খেয়ে নেওয়া, মগের মুলুক?” মমতার আরও তোপ, “মানুষ যখন কোথাও বিচার পান না, তখন আদালতই ভরসা। সেই আদালতে এখন বিজেপি খুন করলেও বেল আর তৃণমূল কিছু না করলেও জেল। তবু বলব, বিচারব্যবস্থায় এখনও কিছু ভালো মানুষ রয়েছেন। তাঁদের বলব, বিজেপির কথা শুনে রায় দেবেন না।” বিরোধীদের হুঁশিয়ারির সুরে তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল, তাদের ছেড়ে দেব? কারও চাকরি এভাবে খাওয়া যায় না। যদি কোনও ভুল থাকে বলবেন সংশোধন করে নেবে। সে তো শ্রমটা দিয়েছে। শ্রমের টাকাটা আপনি নেবেন কী করে? শুধু শ্রমদান নয়, ২৬ হাজার শিক্ষক যদি চলে যায় স্কুলগুলিকে পড়াবে কে?’’ ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, বদলা নয় বদল চাই। এই স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সময় শোনা গিয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এই স্লোগান বাংলাজুড়ে ধ্বনিত হয়েছিল। আর সেটা বাস্তবে করা ভুল হয়েছিল। নিজে মুখেই তা স্বীকার করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে মেদিনীপুর দেখেছেন, শুধুই কঙ্কাল কাণ্ড। ডেডবডির পর ডেডবডি। কোনও বিচার পায়নি মানুষ। সবচেয়ে বড় ডাকাতি করে গিয়েছে সিপিএম। আর সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি করেছিলাম। কারণ আমি বলেছিলাম, বদলা নয়, বদল চাই। পালা বদলের পর বাংলার দিকে দিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত বেজেছিল।” অন্যদিকে নন্দীগ্রামে আলো নিভিয়ে জেতার প্রসঙ্গ তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আবার এখনও নন্দীগ্রামে অত্যাচার হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “নন্দীগ্রামে বিজেপি আবার অত্যাচার শুরু করেছে। লোডশেডিং করে এবারেও ভোটে জেতার চেষ্টা করবে। অনেক টাকা করেছো না! পরিবারকে বাঁচাতে বিজেপিতে গেছো। জেনে রাখো, ওসব করে আর লাভ হবে না। এবারে আর বিজেপি দেশের ক্ষমতায় আসছে না। সিপিএমের সময়ে মানুষ বিচার পায়নি। আর এখন ওরা এখানে বিজেপির চোখ হয়ে কাজ করছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে। মনুষ্যত্ব বিক্রি করে দিয়েছে। এনআরসি নিয়ে এসেছে। সিএএ নিয়ে এসেছে। ইউনিফর্ন সিভিল কোড নিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা লড়াই করে যাব। বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। সেটা ওরা বুঝে গিয়েছে। তাই ঘাবড়ে গিয়েছে। আর উল্টোপাল্টা বলছে। বলছে ভোটের পর এনআইএ দিয়ে দেব। আরে ভোটের পর তুই থাকবিই না, এনআইএ কোথা থেকে দিবি। আগে ঠিক কর নিজে কোথায় থাকবি। এখানে দেব আর জুন যদি জেতে, তবে এই মেদিনীপুরকে আর ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। মেদিনীপুরকে আমি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান উপহার দেব। দেব আমার প্রিয় প্রার্থী। আমি দেখছি, ও একজন ভাল রাজনীতিবিদ হয়ে উঠছে।”

Most Popular