অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়
ফলতার হরিণডাঙা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বৃহস্পতিবার গ্রামে পানীয় জলের লাইন পাতা হয়েছে। কিন্ত তাতে জল আসে না। ফলে বাধ্য হয়ে গ্রামের বাচ্চা, কিশোর, মহিলা ও প্রবীণ প্রবীণাদের এখন হ্যান্ড টিউবয়েলের লোনা বিস্বাদ জল খেতে হচ্ছে। যা থেকে পেটের সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসী মিনতি পাঠক, প্রসন্ন রায়ের কথায়, সব সময় শুনে আসছি বজবজ এ জল প্রকল্প হয়েছে। সেইখান থেকে পানীয় জল আমাদের গ্রামের মানুষ পাবে।
২০২৩ সাল থেকে এই প্রচার শুনে আসছি। বাস্তবে যা দেখলাম তা হল পাইপ লাইন পাতার পর চাতাল যখন সম্পূর্ণ হল। তখন সরকারি লোকজন ছবি তুলে নিয়ে গেল। তারপর ১০ দিন জল এলো। তারপর জলের দেখা নেই। তাও ছ মাস হয়ে গেল। ভোট আসলেই জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কানে আসে। এর আগেও ভোট চলে গিয়েছে। ফের লোকসভা ভোট এসেছে। কিন্ত শুদ্ধ পানীয় জল গ্রামের মানুষ এখনও পেল না।
এমন অবহেলা আর কতদিন চলবে এই বৃহস্পতিপুর গ্রামের সঙ্গে বলতে পারেন? প্রশ্ন ওই গ্রামের টুকাই মন্ডলের। কল্লোল মন্ডল, প্রভঞ্জন কয়াল, সোমা চক্রবর্তী , সুমনা হালদার বলেন, অনেকদিন ধরে জলের হাহাকার এই অঞ্চলে। পাইপ লাইন পাতার পর ভেবেছিলাম এবার বোধহয় জল কষ্ট নিবারণ হতে চলেছে। কিন্ত আমরা সকলে হতভাগ্য গ্রামের মানুষ। তাই জল আর পেলাম না। এখন যা গরম পড়েছে তাতে আরও কষ্ট সকলের।
এই সমস্যা নিয়ে অনেকদিন ধরে বিডিও থেকে জনস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক কার্যালয়ে গণ স্বাক্ষর করে জানিয়েছি। বিডিও বলেছিলেন, আপাতত জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে এর সমাধান করা হবে। কিন্তু এদিন সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জলের ট্যাঙ্ক গ্রামের পৌঁছায়নি। হতাশ সকলে।
ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ বলেন, ফলতা বিডিও র সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। একটা ব্যবস্হা করা হচ্ছে। ফলতা বিডিও শানু বক্সী বলেন, ওই গ্রামটি ফলতা ও ডায়মন্ডহারবার সীমান্ত অঞ্চলে। সেই কারণে ফলতা থেকে জলের সরবরাহ সঠিকভাবে যাচ্ছে না।
এই কারণেই ডায়মন্ডহারবার থেকে ওই গ্রামে জল সরবরাহ করা হবে। আসলে ডায়মন্ডহারবার এ যেখান থেকে জল সাপ্লাই হতে যাচ্ছে সেখানে ট্রায়াল চলছে। কুড়িদিন ধরে সেই কাজ চলবে। তাই এই সময় আমরা বৃহস্পতিপুর গ্রামের মানুষের কাছে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।