Saturday, May 4, 2024
spot_img
Homeরাজ্যযোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। যোগ্যদের হয়ে সুর চড়াচ্ছে সবমহল।কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে পৃথক ভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদও।

যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা দিতে ব্যর্থ।এবিষয়ে এবার মুখ খুললেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, “কয়েক দিন ধরে বলা হচ্ছে, ফোন আসছে যে, এসএসসির তরফ থেকে নাকি অযোগ্যদের কোনও তথ্য কোর্টে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এটা ভুল।

যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর হলফনামা দিয়ে বলি নবম ও দশম মিলিয়ে ৭৭৫ জনের অনুমোদন আমরা প্রত্যাহার করি রুল ১৭ প্রয়োগ করে। বাকি ৩৩ জনের ক্ষেত্রে প্রত্যাহার করা হয়নি।” তিনি আরও জানান, “একাদশ এবং দ্বাদশের র‌্যাঙ্ক জাম্প হয়েছে ৩৯ জন এবং ৭৭১ জনের। ১৮৩ জনের ওএমআর সংক্রান্ত বিষয় ছিল। গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের ওএমআর ইস্যু ।

যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

১০ মার্চ সুপারিশ বাতিল করা হয় আদালতের তরফে। ২০২৪-এর ৫ জানুয়ারি একটি হলফনামা দেওয়া হয়, যেখানে নবম-দশমে ১৮৩ জনের র‌্যাঙ্ক জাম্প হয়েছে বলে জানাই । একাদশ ও দ্বাদশে ৩৯ জনের র‌্যাঙ্ক জাম্প হয়েছে জানাই। গ্রুপ সি ও ডি-তে ৫৭৩ ও ৩৭১ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। তিনটি হলফনামার মাধ্যমে যাবতীয় চাকরি বাতিলের তথ্য দিয়েছি আদালতে।

যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

২০২০-তে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানাই যে, ১৬ সালের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নবম ও দশম মিলিয়ে ১৩০ জনকে দেখে ইন্টারভিউ করিয়ে চাকরি দিয়েছি। সব মিলিয়ে ৫৩০০ অযোগ্যদের তথ্য ও তালিকা আদালতে দেওয়া হয়েছে।” ওএমআর শিট সংরক্ষণ নিয়ে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন,

যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, দাবি এসএসসি চেয়ারম্যানের

“২০১৬ সালে ওএমআর সিটে পরীক্ষা চালু হয় এবং সেই সময় নিয়ম ছিল বা আইন ছিল যে, এক বছর পর্যন্ত এসএসসি নিজের কাছে ওএমআর সিট সুরক্ষিত রাখতে পারবে তার বেশি নয়।” এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, “আদালত বলেছে সহযোগিতার অভাব ছিল। আমি সেটা মেনে নিচ্ছি, কিছুটা হয়তো ছিল। কিন্তু কোনও তথ্য আদালতে দেওয়া হয়নি সেটা মেনে নিতে পারলাম না।”

Most Popular