বিশ্ব সমাচার, ক্যানিং: করোনা মহামারীর থেকেও ভয়ঙ্কর রোগ টিবি (যক্ষ্মা)। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে সঠিক চিকিৎসায় মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তা সত্ত্বেও এই টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবী থেকে টিবিমুক্ত করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।
বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। যক্ষ্মামুক্ত ভারত গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।রাজ্য সরকারের পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগ দূরীকরণের জন্য ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। গ্রামীণ চিকিৎসকদের সচেতন করতে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।
সেখানে মহকুমা এলাকার অসংখ্য গ্রামীণ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।প্রাথমিক ভাবে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ এবং কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে, সেই সম্পর্কে সচেতন করা হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত ক্যানিং ১ ব্লক গড়তে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের এমওটিসি (মেডিকেল অফিসার টিউবারকিউলোসিস কন্ট্রোল) সমরেন্দ্রনাথ রায়।
সভায় টিবি মুক্ত ক্যানিং ব্লক গড়া ডাক দিয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানান চিকিৎসক ও গ্রামীণ চিকিৎসকরা।
ওই কর্মশালায় বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমওটিসি (মেডিকেল অফিসার টিউবারকিউলোসিস কন্ট্রোল) সমরেন্দ্রনাথ রায়,
সিনিয়র ট্রিটমেন্ট সুপারভাইজার কল্যাণ চক্রবর্তী, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার বসুমিতা আঢ্যি, সৌরভকুমার দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রোগ্রেসিভ গ্রামীণ চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হালদার সহ অন্যান্যরা।