সানওয়ার হোসেন, মথুরাপুর: রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর। স্থানীয় অন্ধমনি তলার এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন কৃষ্ণচন্দ্রপুরের বিজেপির বুথ সভাপতি নিমাই হালদার। নিমাই বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
বুধবার জখম নিমাইয়ের বাড়িতে আসেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত।অভিযোগ, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে নিমাইকে আক্রমণ করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। নিমাইকে কোদালের বাঁট দিয়ে পিছন থেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী ও মেয়ে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় নিমাইয়ের স্ত্রী মথুরাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অন্যদিকে, অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ মধুসূদন ঘোষ, চন্দন ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে অনন্ত গায়েনকে। তবে অনন্ত নির্দোষ বলে দাবি নিমাইয়ের পরিবার।
অনন্ত আহত নিমাইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে দাবি ওই পরিবারের। উল্লেখ্য, মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিমাই নিজের বুথে ২৫০ ভোটে জয়ী হন। লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা।
তিনি রাজনৈতিক হিংসার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, কুৎসা রটানোর কাজ করছে বিজেপি। এসব মানুষ মেনে নেবে না। পারিবারিক বিবাদ বলে জানিয়েছেন বাপি। এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।অন্যদিকে, তৃণমূল সমর্থক ঘোষ পরিবারের দাবি, দিনের পর দিন ওই বিজেপি সমর্থকরা তাঁদের কটূক্তি করছিল।
প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপর চড়াও হয় নিমাই হালদার। নিমাই হালদারকে কোদালের বাঁট দিয়ে যে মারা হয়েছে সে কথা অস্বীকার করে তারা। ঘোষ পরিবারের অভিযোগ, তাদের তিনজন বিজেপির হাতে আহত। তারা মথুরাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উভয়পক্ষ থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উভয় পক্ষের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে মথুরাপুর থানার পুলিশ।