রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, পাথরপ্রতিমা : আয়লার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাথরপ্রতিমার জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতারামপুরের লঞ্চঘাট। তারপর থেকে আজও পর্যন্ত সেই একই অবস্থাতেই রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ ঘাটের মেরামত না হওয়ায়, নৌকাতে ওঠানামা করতে সমস্যায় পড়তে হয়।
এমনকি লঞ্চঘাট খারাপ থাকায় বেলা করে পাথরপ্রতিমার ফেরি সার্ভিস দেওয়া হয়। যে কারণে এই এলাকার বাসিন্দাদের কলকাতা সহ দূরবর্তী এলাকায় পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রশান্ত সামন্ত বলেন, “জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েত নদীবেষ্টিত একটি দ্বীপ।
এই দ্বীপে প্রায় ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। লঞ্চ ঘাটটি প্রায় ভগ্ন অবস্থায় থাকায় এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষত লঞ্চ ঘাটটি খারাপ থাকায় মাত্র দুটি ফেরি সার্ভিস চালানো হয়। তাও আবার অনেক বেলার দিকে। যদিও এই দ্বীপের দাসপুরে আরও একটি খেয়া ঘাট রয়েছে।
তবে দক্ষিণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের একেবারে উত্তরে দাসপুরের খেয়া ঘাটে যেতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই দূরদূরান্ত এলাকায় সকাল সকাল কেউ পৌঁছতে পারেন না।” এলাকাবাসীর দাবি, ভোর পাঁচটার দিকে সীতারামপুরের লঞ্চ ঘাট থেকে একটি লঞ্চ চালাতে হবে।পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা বলেন, লঞ্চ ঘাটটি মেরামত করার জন্য দু’টি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিবহন দপ্তরে এবং আর একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদে। যার অনুমোদন আগে মিলবে, সেটাই গৃহীত করা হবে। তিনি আরও বলেন, সকাল পাঁচটা নাগাদ একটি লঞ্চ চালানোর জন্য পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপরই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লঞ্চ চালানোর ব্যবস্থা করা হবে।