স্টাফ রিপোর্টার: হস্টেলে কোনও আইনের শাসন নেই, মানলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস! যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় জয়েন্ট সিপি ক্রাইম বুধবার তলব করেছিলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। রেজিস্ট্রার বুধবার লালবাজারে গেলেও উপস্থিত হননি রজত রায়।
কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়ারা। যাদবপুর থানায় ফোন করে তিনি সেকথা জানিয়েছিলেন।বুধবার অনুপস্থিত থাকার পর, ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে একগুচ্ছ নথি চেয়ে পাঠানো হয়। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর।বৃহস্পতিবার প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে হস্টেলে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কথা কবুল করেছেন তিনি, এমনই দাবি সূত্রের।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে বিধি কার্যকর করা কঠিন।’ সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের তরফে আরও জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি রয়েছে কি? সুপারের ভূমিকা ঠিক কী? সিসি ক্যামেরা কেন নেই? নেপথ্যে কাদের নির্দেশ ছিল?’ সূত্রের খবর, উত্তরে ডিন অফ স্টুডেন্টস বললেন, ‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি আছে, তবে কয়েকটি।’
সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ডিন জানিয়েছেন, ওই দিন রাত ১০টা ৫ নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয় একটি ছেলের রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনি দেখুন। ডিন বলেন, পরের দিন কথা বলব। উনি সেই নম্বর ট্রু কলারে দিয়ে নাম দেখেন। সুপারের থেকে জানতে চান এই নামে কোনও ছাত্র আছে কি না জানাতে।
সূত্রের খবর, সুপার জানাননি বলে দাবি ডিনের। রাত ১২.০৮ নাগাদ সুপার ডিনকে ফোনে জানান, একটি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ডিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ মনে করছে ছাত্ররা পুলিশকে যে বক্তব্য দিয়েছিল ফোন নিয়ে তা বিভ্রান্তিকর। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সুপারকে বলা হয় এক ছাত্র অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
সেটাই বিভ্রান্তিকর বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তদন্তের প্রয়োজনে এবার প্রয়োজনে হস্টেল সুপার কেও ডাকা হতে পারে। ফের প্রয়োজন হলে ডিনকেও ডাকতে পারে লালবাজারে।এমনটাই সূত্রের খবর।