স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে বেকারদের চাকরি হোক তা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি মহার্ঘ্য ভাতা দিচ্ছেন না।
আপনি ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। তার বদলে ৩০ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ঢুকিয়েছেন। ৩০ লক্ষ পদ খালি। পূরণ করছেন না কেন?মমতা ব্যানার্জি চাকরি হোক চায় না। কারণ একটা চাকরি দিলে তাকে অন্তত ২৫ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।
মমতা ব্যানার্জি ভাবেন, ২৫ হাজার টাকা একটা পরিবারকে দিলে বড়জোর তার ৩ – ৪টি ভোট পাব। বরং ওই ৫০০ টাকা করে আমি ৫০ জনকে ওই ২৫ হাজার টাকা দেব। তাহলে ২০০ ভোট পাব।” শুভেন্দু আরও বলেন,”অনেক চেষ্টা করেও চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারীদের দমাতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। সবাই বসে আছেন।
তাদের কারও কাছে কোনও দলীয় পতাকা নেই। হকের জন্য লড়ছেন তাঁরা।” পাশাপাশি এদিন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে শো-কজ করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিওপিডি সচিব, ক্যাবিনেট সচিব এবং অর্থ সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
তাঁর অভিযোগ, বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব। সেখানেই তিনি কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী মন্তব্য করেছেন। রাজ্য সরকারের আর্থিক ঋণের তুলনা টানতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ম-বহির্ভূত।
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক হয়েও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছেন। যা কেন্দ্রীয় সরকারের একজন আধিকারিকের পক্ষে সম্ভব নয়।তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আমি তিনটি মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যসচিবকে শো-কজের দাবি জানিয়েছি, সঙ্গে অবসরের পর তাঁর সমস্ত সুযোগ-সুবিধা যাতে কাটছাঁট করা হয়, তা-ও জানিয়েছি।’’