সংবাদ সংস্থা: ১৩৬ রান তাড়া করতে গিয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলেও ম্যাচ জেতালেন না কেএল রাহুল। শেষে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে গুজরাট জিতল ৭ উইকেটে।লখনউয়ের স্লো পিচে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রান তোলে গুজরাট। অধিনায়ক হার্দিক করেন ৬৬ রান। উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাও ৩৭ বলে ৪৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল লখনউ। পাওয়ার-প্লে চলাকালীনই ৫০ রান পেরিয়ে যায় তারা। কিন্তু কাইল মেয়ার্স আউট হয়ে যাওয়ার পরই কমতে থাকে রানের গতি। গুজরাটকে ম্যাচে ফেরান নূর মহম্মদ, জয়ন্ত যাদব, রশিদ খানরা। মাঝের ওভারগুলিতে সেভাবে রানই ওঠেনি।
সেজন্য অনেকটা দায়ী অধিনায়ক কে এল রাহুল এবং ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার স্লো ইনিংস। রাহুল ৬১ বলে ৬৮ রান করলেন। শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলেন তিনি অথচ ম্যাচ শেষ করে যেতে পারলেন না। যার ফলে চাপ পড়ে গেল অন্য ব্যাটারদের উপর। ২৩ বলে ২৩ রানের স্লো ইনিংস খেললেন ক্রুণালও।
রাহুল-ক্রুণালদের স্লো ইনিংসের দৌলতে শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল। তখনও ব্যাট করছিলেন রাহুল এবং বাদোনি। কিন্তু শেষ ওভারে পড়ল ৪টি উইকেট। যার মধ্যে দুটি রান আউট। রান হল মাত্র ৪। শেষপর্যন্ত গুজরাট ৭ রানে জিতল। কার্যত অসম্ভব হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ হেরে গেল লখনউ।