স্টাফ রিপোর্টার: গরু পাচার মামলায় ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে সশরীরে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়। এদিন সওয়াল জবাবের শুরুতেই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জামিনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন। তিনি বলেন, “বলা হচ্ছে জেলে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অনুব্রত সহযোগিতা করছেন না।
নিশ্চুপ থাকছেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ সঠিক নয়। উনি জানবেন তবে তো উত্তর দেবেন? শাসকদলের সভাপতি হওয়ার জন্য অনুব্রত প্রভাবশালী? উনি দলবদল করলে বা রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেই প্রভাবশালী তত্ত্ব সরে যাবে? তবেই মিলবে জামিন?” সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুনানিতে অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, “কোনও অজ্ঞাত কারণে তদন্ত শেষ হচ্ছে না। তদন্তের আর কিছু নেই।”
অনুব্রতর একাধিক শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। জেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার কথা ছিল। তবে তা সত্ত্বেও জেল হেফাজতের মোট ৭৯ দিনে তেমন চিকিৎসা পরিষেবা অনুব্রত পাননি বলেই অভিযোগ তাঁর আইনজীবীর।যদিও প্রথম থেকে জামিনের আবেদন খারিজের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
শনিবার আরও কয়েকজন সাক্ষ্যের নাম সিডিতে জমা দেওয়া হয়। তিনি জানান, তদন্ত চলছে। অনুব্রত প্রভাবশালী। তাই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক। এদিন আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, অনুব্রত মণ্ডলের এই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে সিবিআইয়ের আর কতদিন লাগবে।
সূত্রের খবর, সেখানে জানানো হয়েছে আরও দু’মাস সময় লাগবে।দুই তরফের সওয়াল জবাবের পর অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ১১ নভেম্বর আবার আদালতে তোলা হবে তাঁকে।