অভিষেক প্রধান ঃ নকশালদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী।শুক্রবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে পুলিশ ও নকশালদের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল ১২ নকশালবাদীর।সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থল থেকে নিহত নকশালদের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গাঙ্গালুর থানা এলাকার পেডিয়া বনে এখনও গুলির লড়াই চলছে বলে জানা গিয়েছে।নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রের খবর, তিনটি জেলার সেনারা নকশাল বিরোধী অভিযানে নেমেছিল। এরপর প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে এখানে অভিযান চলে।এদিন সকাল ৬টা থেকে নকশালদের সঙ্গে এনকাউন্টার চলে।একাধিক শীর্ষ নকশাল নেতা লুকিয়ে থাকার খবর আগে থেকেই ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে।
এরপরই আঁটঘাট বেঁধে এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযানে নামে এসটিএফ, সিআরপিএফ, ডিআইজি ও কোবরা ব্যাটেলিয়ন। অভিযান চলাকালীন পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে মরিয়া হয়ে যৌথবাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে নকশালবাদীরা। পালটা জবাব দেওয়া হয় জওয়ানদের তরফে।
দুই তরফে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে।পত্রিকাটি মুদ্রনে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এখনও এনকাউন্টার চলছে বলে।এই ঘটনায় বস্তার তিন জেলার আইজি, ডিআইজি এবং এসপি অভিযান ও এনকাউন্টারের দিকে নজর রাখছেন।
তথ্য অনুযায়ী, গত চার মাসে ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে ৯০ টিরও বেশি নকশাল নিহত হয়েছে। ১২৩ টিরও বেশি নকশালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, ২৫০ টিরও বেশি নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে।উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল ছত্তিশগড়ের কাঙ্কেরে একটি বড় নকশাল এনকাউন্টার হয়েছিল।
নিরাপত্তা বাহিনী এবং জালদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ানও আহত হয়েছেন। সৈন্যরা একে-৪৭ সহ প্রচুর পরিমাণে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এই এনকাউন্টারে শীর্ষ নকশাল কমান্ডার শঙ্কর রাও নিহত হয়েছেন।
তার মাথায় ২৫ লাখ টাকা পুরস্কার ছিল। ৩০ এপ্রিল, ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে ডিআরজি-এসটিএফ সৈন্যরা আবুজহমাদের জঙ্গলে অন্যদিক থেকে নকশালদের ঘিরে ফেলেছিল।