অভিষেক প্রধান ঃ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক তরজা চলছে। বিরোধীরা এই নিয়ে যখনই প্রশ্ন তুলেছে তখনই শাসক দল কড়া জবাব দিয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জনগণকে আতঙ্কিত হতে বারন করেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা লন্ডনের একটি আদালতে জানায় যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে তার ভ্যাকসিন বিরল ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এরপর এ নিয়ে রাজনীতি তুঙ্গে উঠে। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করে
।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ভ্যাকসিনের উপকারিতা অনেক কিন্তু অপকারিতা অনেক কম। তাই কোভিশিল্ড নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। এই ভ্যাকসিন নিরাপদ।যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকত তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই ঘটত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিন নিয়ে যা খবর আসছে তাতে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।
কংগ্রেসের অভিযোগ, যে ব্রিটিশ আদালতে হলফনামা দিয়ে সিরাম কোম্পানি স্বীকার করেছে যে তাদের ভ্যাকসিনের কারণে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন হেমারেজ এবং রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এ কারণে প্রতিটি মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগকে উড়িয়ে বিজেপির দাবি, যে ভ্যাকসিন কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে, সেই ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। তারা এটিকে মোদী ভ্যাকসিন বলেও অপপ্রচার চালাচ্ছিল। ভারতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের সুবিধা নিয়েছে গোটা বিশ্ব।
কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন চলাকালীন বিরোধীরা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে।