খাস কলকাতায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ।ঘটনাটি ঘটেছে, বাগুইআটির অর্জুনপুর এলাকার পশ্চিমপাড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার রাতে ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। দু’পক্ষই একে অপরের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। মারামারিও বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুলিশ চলে যেতেই আবার গন্ডগোল শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে।অভিযোগ, এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেয়। তার পরই আবারও দু’গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। প্রথমে বচসা, সেখান থেকেই হাতাহাতি। সেই ঝামেলার মধ্যেই ইটের আঘাতে মাথায় চোট পান সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা।
রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর বাকি সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও সঞ্জীবকে ধরে ফেলেন বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকেরা। তার পর তাঁকে কিল-চড়-লাথি-ঘুষি-লাঠি দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ।মারধরের পর সঞ্জীবকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিত আরও জটিল হলে পুলিশকে র্যাফ নামতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশি আশ্বাসে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
যদিও চাপা উত্তেজনায় রয়েছে এলাকায়। রবিবার সকালে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না। এধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না। তবে তৃণমূলে একটাই গোষ্ঠী, যার প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর কোনও গোষ্ঠী নেই।” তাঁর আরও সংযোজন, “বাগুইআটি, জ্যাংড়া, হাতিয়ারা এলাকায় বিজেপি মাথাচারা দিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, কেউ এটা করিয়েছে কিনা, তা খুঁজে দেখুক পুলিশ।” গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।