প্রদীপকুমার সিংহ, বারুইপুর: স্কুলে পড়তে পড়তে প্রেম ভালোবাসা হয়। বড় হয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেই স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কালিবাজার এলাকায় কালীবাজার এলাকায়। মৃত স্বামীর নাম রাখেশ হালদার।
বাড়ি কালীবাজার এলাকার কাছাকাছি। পরিবার সূত্রে খবর, রাকেশের সঙ্গে মৌমিতা ঢালির বিয়ে হয় এক বছর আগে। বিয়ের এক বছরের মাথায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ৷ পুত্রবধূর পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ছেলের এই পরিণতি বলে অভিযোগ বাবার৷
পুত্রবধূ মৌমিতা ঢালি ও তাঁর মা মীনা ঢালির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা রবীন হালদার৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷স্কুলে পড়তে পড়তেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল রাকেশ ও মৌমিতা৷ তারা বিয়েও করে৷ বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি৷
বাবা ও মাকে ছেড়ে স্ত্রীর বাপের বাড়ি কালীবাজার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন রাকেশ ও মৌমিতা৷ রাকেশের বাবা রবীন হালদারের অভিযোগ, পুত্রবধূ মৌমিতা অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ এই নিয়ে দু’জনের মাঝেমধ্যে অশান্তিও হত৷ তাঁর ছেলের উপর মা ও মেয়ে মিলে নির্যাতন চালাতেন বলেও অভিযোগ৷
তিনি আরও বলেন, ঘটনা ঘটলেও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি৷ এই ঘটনার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও করা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ ৷খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য তা পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে আরো খবর কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা রাকেশের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ।
