স্টাফ রিপোর্টার: দুদিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । শুক্রবার আরামবাগে সরকারি অনু্ষ্ঠান ও সভা সেরে তিনি রাতে রাজভবনে ছিলেন।আজ কৃষ্ণনগরে সভা আছে তাঁর। তবে এদিন প্রোটোকল মেনেই সন্ধেবেলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সূত্রের খবর, দুজনে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন।
আধঘণ্টারও বেশি দুজনের মধ্যে কথা হয়। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”পুরো প্রটোকল মেনে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে যে দেখা করতে হয় সেটা। আর কিছুক্ষণ গল্প করলাম এই যা।রাজ্য়ের কথাও বললাম।রাজনীতির কথা কম, গল্পই বেশি হল। এটা প্রটোকল মিটিং। সৌজন্য সাক্ষাৎকার।”
তবে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে কথা হয়নি বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।উল্লেখ্য, কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এলে মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে স্বাগত জানাতে যাওয়া কিংবা দেখা করা প্রোটোকলের মধ্যেই পড়ে। রাজনৈতিক সংঘাত থাকলেও এই সৌজন্য বজায় রাখেন সকলেই। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরামবাগে পৌঁছনোর মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁকে স্বাগত জানাতে যান মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
আর বিকেলে কলকাতা পৌঁছলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চলে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।এদিকে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নামছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে এই ‘গল্প’ কতটা দুদলের কাছে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতির ময়দানে শত্রুতা থাকতেই পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্য়ে এসেছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী যাবেন, দেখা করবেন, সৌজন্যতা দেখাবেন এটাই স্বাভাবিক।তবে এদিন মোদী-মমতা সাক্ষাতের পরে কাল প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের বিরুদ্ধে কতটা সুর চড়াবেন সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল।
তবে এসবের মধ্য়েই ঘুরে ফিরে আসে বহু চর্চিত সেটিং তত্ত্ব। কিন্তু দুই দলের নেতৃত্ব কখনওই এই তত্ত্বের সঙ্গে একমত হননি।