বিশ্ব সমাচার, বাসন্তী: রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সামিম সরদার। তাঁর বাম হাতের বাহুতে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর গরানবোস এলাকায়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ওই তৃণমূল কর্মীর মা আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন।সামিম স্থানীয় বাজারের মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। রাতের অন্ধকারে একাই বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে আচমকা তাঁকে ১০/১২ জন দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুলি লাগে তাঁর বাম হাতের বাহুতে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল কর্মী। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয় মানুষজন বাইরে বেরিয়ে আসেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়ে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার জন্য আরএসপি আমাদের কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।
হেরে যাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে আরএসপি।
অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরএসপি। আরএসপির বাসন্তীর প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ নস্কর বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই । কয়েক বছর আগে ওখানে একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্তরা। আর অভিযোগ তুলে না নেওয়ার জন্যই গুলি করে খুনের চেষ্টা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর পিছনে রাজনীতি না অন্য কোনও কারণ জড়িয়ে আছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে। এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি গুলির খোল।