সানওয়ার হোসেন, কুলপি: বুধবার কুলপির গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যবস্থাপনায় সর্বধর্ম সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হল ইদ প্রীতি মিলনোৎসব।উপস্থিত ছিলেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রিয় হালদার, গাজিপুর পঞ্চায়েত প্রধান শাহানুর বিবি মোল্লা ও উপপ্রধান রাহান হালদার, অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা এবং শতাধিক কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন দলীয় মিলনোৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এযাবৎ একটাও কথা রাখেনি। বিজেপি ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়েই রাজনীতি করছে। হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভেদ ছড়ানো এদের মূল কাজ। বাংলাজুড়ে হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। একমাত্র তৃণমূলই পারে সম্প্রীতি বজায় রাখতে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের সজাগ হওয়ার আবেদন জানান তিনি।
বিজেপির সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেটা ভেবে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, একদিকে বিজেপি হিন্দু সম্প্রদায়কে উত্তেজিত করছে, অন্যদিকে আইএসএফ মুসলিমদের উস্কানি দিচ্ছে। এরা চায় এই বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে।বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, এধরনের সম্প্রীতির উৎসব সর্বস্থলে ছড়িয়ে দিতে হবে। এর আগে দেশে যত প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।
কিন্তু বর্তমান যিনি আছেন, তিনি এই সম্প্রীতি রক্ষা তো দূরের কথা, সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ সৃষ্টি করে চলেছেন। ভারতবর্ষের ঐক্য নষ্টকারী ইংরেজদের সহযোগী বিজেপি। এই দল কোনও জাতির জন্য মঙ্গল আনে না। দেশটাকে ধীরে ধীরে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিজেপি বাংলার শত্রু, ভারত বর্ষের শত্রু।আইএসএফকে কটাক্ষ করে বিধায়ক বলেন, তাদের মুখে ধর্মের কথা মানায়। রাজনীতির কথা নয়।
এরা বিজেপি নামক সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে যুক্ত। উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে বিধায়ক বলেন, স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তে হবে। প্রার্থী নিয়ে কোনও দলাদলি নয়। সুষ্ঠুভাবে মানুষকে ভোটাধিকার দিতে হবে। সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে। প্রতিটি বুথের সাধারণ মানুষের সমর্থনে প্রার্থী বাছাই করে নির্বাচন হবে।
শেষে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের মধ্যে শিমুই ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।