Tuesday, May 7, 2024
spot_img
Homeরাজনীতিগায়ের জোরে ভোট নয়', বার্তা অভিষেকের

গায়ের জোরে ভোট নয়’, বার্তা অভিষেকের

স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চায় উঠে আসছে ২০১৮-র ঘটনা। রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলগুলি যে হিংসা আর সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল, তার ফল ভুগতে হয়েছিল শাসক দলকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেবার মনোনয়ন দিতে না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তার জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনটা উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও শাসক দলকে ধাক্কা খেতে হয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। এবার ২০২৪-এর আগে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় তৃণমূল।

গায়ের জোরে ভোট নয়', বার্তা অভিষেকের

তাই ভোট-সন্ত্রাস যাতে না হয়, সে ব্যাপারে দলের কর্মীদের সতর্ক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা।“২০১৮ আর ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে অনেক ফারাক৷ অনেক পার্থক্য থাকবে। বিধায়ক- সাংসদ বাছাইয়ের মতো করে ভোট হবে এই পঞ্চায়েতে। রাজনৈতিক সবকটি দল গণতান্ত্রিক ভাবে প্রার্থী, মনোনয়ন দেবে।

গায়ের জোরে ভোট নয়', বার্তা অভিষেকের

লোকসভা, বিধানসভায় যেভাবে ভোট হয়েছে সেভাবে হবে। যেখানে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারবে না, প্রয়োজনে আমরা দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়ন জমা করাব।”দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও নিয়ম বেঁধে দেন সাংসদ। অভিষেক জানিয়েছেন, “গায়ের জোরে প্রার্থী নয়। মানুষ যাকে চাইবে তাঁকেই প্রার্থী। প্রত্যেকে নাম পাঠান। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নাম পাঠান। এমন কিছু নাম এসেছে যাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আছে।

গায়ের জোরে ভোট নয়', বার্তা অভিষেকের

দল তাঁদের প্রার্থী করবে না। করে খাওয়ার জায়গা পঞ্চায়েত নয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “আপনাদের আবারও বলে দিচ্ছি, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। আপনাদের থেকে প্রাপ্ত তালিকা আমরা নেত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেব।”১০০ দিনের কাজে বাংলাকে বঞ্চনা নিয়েও এদিন ভোকাল টনিক দেন অভিষেক। আমজনতার কাছে সেই বঞ্চনার খতিয়ান তুলে ধরার নির্দেশও দেন।

গায়ের জোরে ভোট নয়', বার্তা অভিষেকের

অভিষেকের কথায়, ” বাংলা একমাত্র রাজ্য, যার সাথে বঞ্চনা করা হচ্ছে। মানুষের কাছে গিয়ে বোঝান, বিজেপি হেরে গিয়ে টাকা আটকে রেখেছে। মানুষের কাজ করুন। দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন। ব্লক সভাপতিরা যোগাযোগ রাখুন বিধায়কের সঙ্গে।মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান।”

Most Popular