স্টাফ রিপোর্টার : এ বার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। গত 17 জানুয়ারি 2021 মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়। সেখানে পরীক্ষার্থী ছিলেন আব্দুল হামিদ৷ তাঁর দাবি, তিনি উত্তরপত্রে এ ও বি অপশনে গোল দাগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু সি অপশনে গোল দাগ দিয়ে তাঁর উত্তরপত্রটি বাতিল করে দেওয়া হয়৷এই নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন৷
শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়৷ শুনানির সময় বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর অন্যান্য সব অপশনে গোল দাগ একই রকম। শুধু সি অপশনে অন্যরকম গোল দাগ কেন হবে?’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘পরীক্ষার্থী যে কলমে গোল দাগ দেন, তা আদালতে নিয়ে আসেন। সেই কলমের কালি সঙ্গে কেন মিলিয়ে দেখবে না কোনও সংস্থা?’’
এর পরই তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে হয়তো এবার ৷’’শুনানি শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএল-কে দিয়ে উত্তরপত্র পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি যে পেন আবেদনকারী আদালতে যে পেন জমা করেছেন,
সেই পেন দিয়ে সি উত্তর করা হয়েছে কি না এবং এ ও বি উত্তরের কালির সঙ্গে সি উত্তরের কালির মিল আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখবে সিএফএসএল ৷তাঁর আরও নির্দেশ, ডাইরেক্টর সিএফএসএল-কে এই মামলায় সংযুক্ত করতে হবে। উত্তরপত্র ও আদালতে জমা পড়া কালো কালির পেন সিএফএসএল-কে 31 অগস্টের মধ্যে পাঠাতে হবে।
আগামী 28 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিএফএসএল-কে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ 28 সেপ্টেম্বরই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন৷