স্টাফ রিপোর্টার: একুশের নির্বাচনের পর রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে এবার ফের বাংলার রাজনীতির ময়দানে দেখা গেল তাঁকে। বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার সঙ্গে দেখা গেল সংগঠনের অন্যান্য নেতাদেরও।
জানা গিয়েছে, দলের শৃঙ্খলারক্ষার বৈঠকে তিনি এদিন কথা বলবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। বুধবার হেস্টিংসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্ছ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মিঠুন বলেন, “যদি দুর্নীতির কোনও প্রমাণ না থাকে, তবে ঘুমিয়ে থাকুন। আর প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবেন না। তা প্রধানমন্ত্রী হোন কিংবা রাষ্ট্রপতি।
কারণ, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।” মিঠুনের দাবি, এই মুহূর্তে ৩৮ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছে। যার মধ্যে ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগে আছে। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বম্বেতে যখন ছিলাম। একদিন সকালে উঠে শুনি বিজেপি শিবসেনার সরকার তৈরি হবে। মহারাষ্ট্রে হতে পারলে এখানে হতে পারে না কেন?’
মিঠুনের দাবি সত্যি হলেও রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে আরও অন্তত ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজ হবে বিজেপির। বিজেপির কাছে রয়েছে বর্তমানে ৬৯ জন বিধায়ক। তার সঙ্গে তৃণমূলের ৩৮ জন যোগ করলে সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৭। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে প্রয়োজন হয় ১৪৪টি আসন।
এদিন নিজের হতাশার কথা জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘এখন রাজনীতিক মানেই চোর। আমরাই ভোট দিয়ে এদের আনি। এখন রাজ্যের পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ভগবানই একমাত্র বাঁচাতে পারেন।’