অমিত মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, ফ্রেজারগঞ্জ: একটার পর একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে সুন্দরবন। বুলবুল, আমফান, ইয়াসের মতো বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেইসময় এইসমস্ত এলাকায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ।২৬ জুলাই বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস। এই বাদাবন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নামখানার বিভিন্ন জায়গায় বাদাবন দিবস পালন করা হয়েছে।
ফ্রেজারগঞ্জের হেনরি আইল্যান্ডে নামখানার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শান্তনু সিংহঠাকুর বাদাবন দিবসে নিজের হাতেই ম্যানগ্রোভ লাগান। এছাড়াও এদিন বিভিন্ন জায়গায় নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বিশ্ব বাদাবন দিবস পালন করা হয়। একটি জার্মানি সংস্থা ডিআরসিএসসি-র উদ্যোগেও নামখানার ফ্রেজারগঞ্জে এলাকার মহিলাদের নিয়ে বিশ্ব বাদাবন দিবস পালন করা হয়।
এলাকার মহিলাদের নিয়ে র্যালির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে গাছ লাগানো নিয়ে সচেতনতার বার্তাও দেওয়া হয়। এরপর ফ্রেজারগঞ্জের নারায়ণীতলা ধনেশ্বর শিক্ষা সদন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বাদাবন দিবস নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালিমণ্ডল, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ নীলকণ্ঠ বর্মন, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রসেনজিৎ জানা।
এছাড়াও ছিলেন বকখালি বনদপ্তরের আধিকারিকরা সহ ডিআরসিএসসি সংগঠনের সদস্যরা। ডিআরসিএসসি-র সদস্য তাপস মণ্ডল ও অসীম দাস অধিকারী বলেন, সুন্দরবনকে বাঁচাতে গেলে ম্যানগ্রোভ লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে। যেভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে, পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করা হচ্ছে, তাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও হারিয়ে যাচ্ছে।
যাতে একটা সময় এই সুন্দরবন পুরো ধ্বংস না হয়ে যায়, সেজন্য আমাদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ফ্রেজারগঞ্জের এলাকার মহিলাদের নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষকে গাছ লাগানোর বার্তা দিচ্ছি। অনুষ্ঠান শেষে এলাকার মহিলাদের হাতে নারকেল গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।