সংবাদ সংস্থা : কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় বিরোধীদের ভাষা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ সংসদের৷ বাদল অধিবেশনের আগে সংসদে জারি শব্দ ‘ফতোয়া’।গ্রীষ্ম, বাদল এবং শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষই বিরোধীদের সমালোচনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল প্রায়শই ৷ মাঝে মাঝেই অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করতে হয়েছিল৷ সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই এবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় একগুচ্ছ শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংসদ৷
এই দীর্ঘ তালিকার একটি বই প্রকাশ করেছে লোকসভা সেক্রেটারিয়েট৷ এই তালিকায় ইংরেজি ও হিন্দি দু’টি ভাষার শব্দই রয়েছে৷ আর বলা যাবে না ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘জুমলাজীবী’, ‘বাল বুদ্ধি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘স্নুপগেট’, ‘ভণ্ডামি’র মতো শব্দ। কারণ মোদি সরকারের সচিবালয়ের মতে এগুলি ‘অসংসদীয়’ শব্দ।
এই ঘটনায় একযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই বিষয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলসাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি সচিবালয়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমি ‘মৌলিক’ শব্দ ব্যবহার করব। আমাকে সাসপেন্ড করুন। গণতন্ত্রের জন্য লড়ব।মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় গর্জে উঠছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
টুইটারে মহুয়া লেখেন,“লোকসভা ও রাজ্যসভায় নতুন অসংসদীয় শব্দের তালিকায় নেই সঙ্ঘি। আসলে কীভাবে ভারতকে ধ্বংস করছে বিজেপি, তার ব্যখ্যা দিতে গিয়ে বিরোধীরা যে শব্দ ব্যবহার করত, তা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।” একই বিষয়ে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
যেন বা একটি অভিধানের পাতাই টুইট করেছেন তিনি! সেই পাতায় একটিই শব্দ ‘আনপার্লামেন্টারি’ বা ‘অসংসদীয়’। এরপর বিশেষণটিকে ব্যাখ্যা করা হয়- কীভাবে প্রধানমন্ত্রী সরকার চালাচ্ছেন, তা সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এই শব্দ দিয়ে।