রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, সাগর: অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা— এই থিমকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সাগরের চৌরঙ্গী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জল দিবস পালন করা হয়। জল সংরক্ষণ করো, জল ধরো, জল অপচয় বন্ধ করো— এই স্লোগানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয় এই স্কুলের উদ্যোগে। হলো বিশ্ব জল দিবস। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও ২২ মার্চ বিশ্বজুড়ে বিশ্ব জল দিবস পালিত হয়। ১৯৯৩ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ জলের প্রয়োজনীয়তা এবং সংরক্ষণ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটিকে একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে ১৯৯২ সালের ‘পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্পর্কিত রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলন’-এর ২১ নম্বর তফসিলে প্রথম যুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৯৩ সাল থেকে জলের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশ্ব জল দিবস উদযাপন শুরু হয়।রাষ্ট্রসংঘে মতে, প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ জল ছাড়াই বসবাস করছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্বের সর্বনিম্ন মাথাপিছু জলের প্রাপ্যতা রয়েছে।
এই অঞ্চলে ২০৫০ সালের মধ্যে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার ৩০% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।সেচের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত জলের প্রায় ৪০% ভূগর্ভ থেকে আসে। এছাড়াও, পৃথিবীর প্রায় সব তরল স্বাদু জলই ভূগর্ভস্থ।বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস মণ্ডল বলেন, দিন দিন জলসংকট তীব্রতর হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে। ভারতের ২১টি শহরে পানীয় জলের অভাব ভীষণ ভাবে বেড়ে চলেছে। মাটির নীচে জলস্তর নেমে যাচ্ছে। চড়া দামে এই গরমে জল কিনতে হচ্ছে।
দু’দিন পরে হয়তো তাও মিলবে না। তাই জল একদম অপচয় করবেন না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করুন। চাষের কাজে ভূপৃষ্ঠের জল কাজে লাগান। মাটির তলার জল শুধু পানীয় হিসেবে তুলতে হবে। এই ভাণ্ডার খুব সীমিত। জলকে আমরা বিভিন্ন ভাবে দূষিত করে ফেলছি। এটা বন্ধ করতেই হবে। দূষিত জলের জন্য অসুখবিসুখ বাড়ছে।