বিশ্ব সমাচার, কাকদ্বীপ : নতুন রূপে সেজে উঠল কাকদ্বীপের প্রাচীনতম বিশালাক্ষী মন্দির। দীর্ঘদিন ভগ্ন অবস্থায় ছিল এই প্রাচীন মন্দিরটি। প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নিয়মিত পূজার্চনা। অথচ একসময় এই মন্দিরটিই ছিল কাকদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী মন্দির। বর্তমান নানান কারণে মন্দিরের দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভেঙে ভেঙে পড়ছিল মন্দিরের পাকা বাড়ির দেওয়াল। নতুন করে মন্দিরটি আবার সংস্কার করা হবে বলে জানান কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। শনিবার ভক্তদের জন্য মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়। এদিন প্রায় ১ হাজার ভক্ত মন্দিরের প্রসাদ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানান, “মন্দিরটি ব্রিটিশ আমলে কলকাতার এক জমিদার তৈরি করেছিলেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মন্দিরটি প্রায় ভগ্ন অবস্থায় ছিল। এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় মন্দিরটি নতুন করে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মন্দিরে নিয়মিত পূজার্চনা করা হবে।
“
অন্যদিকে প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যানগর সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য জিতেন্দ্র ভকত জানান, “প্রায় ১১৩ বছর আগে কাকদ্বীপের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি জঙ্গল কাটাই করে তৈরি করা হয়েছিল। নানান সমস্যার কারণে মন্দিরটি ভগ্ন অবস্থায় ছিল। এদিন বিশালাক্ষী মন্দিরের আর একটি গৃহে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও শিবমূর্তির শালগ্রাম শিলার পূজার্চনা করা হয়েছে।”
অপরদিকে প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াপাড়া সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বনাথ ঘোড়ই জানান, এলাকাবাসীর সবার সহযোগিতা নিয়ে প্রাচীনতম এই মন্দিরটির নতুন করে সংস্কার করা হবে। এদিন কাকদ্বীপবাসীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।