সংবাদ সংস্থা : শুক্রবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ।শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস।
একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। ওড়িশার বালেশ্বর এখন মৃত্যুপুরী। রেল দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ, আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে।করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাতভর উদ্ধার অভিযান চলার পর একাধিক কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ।
অনেককেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পত্রিকাটি মুদ্রনে যাওয়া পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৮৮ হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ভরতি অনেক যাত্রীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।আহতের সংখ্যা প্রায় ৮০০৷
মোট হতাহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের উপরে৷এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের৷র্ঘটনার পর থেকে খোঁজ মেলেনি প্রিয়জনের৷ শুধু গলার স্বরটা শুনতে পাওয়ার জন্যই রাত জেগে কাটিয়াছে না জানি কত পরিবার৷ এ যেন এক দমবন্ধ করা অপেক্ষা৷
শনিবার বিকেলে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর করা ট্যুইটের তথ্য বলছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহতের সংখ্যা প্রায় ৫৪৪ জন৷ এর মধ্যে ওড়িশার হাসপাতালে ২৫ জনের চিকিৎসা চলছে৷ পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১৷
এই অবস্থায় আজ বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। এদিকে এদিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেলমন্ত্রী। তারা সবাই সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।