বিশ্ব সমাচার, কাকদ্বীপ : কাকদ্বীপে গৃহবধূর পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল ২ জনকে। এদিন মৃত গৃহবধূর শশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, লক্ষ্মী পুজোর দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার প্রসাদপুর পূর্ব পাড়া এলাকার এক গৃহবধূর পুড়ে মৃত্যু হয়। মৃত গৃহবধূ হলেন শিউলি গিরি পাঁজা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ বছর আগে দেখাশুনা করে নামখানার ৭ মাইলের বাসিন্দা শিউলির সঙ্গে প্রসাদপুরের বাসিন্দা গুরুপদ পাঁজার বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই গুরুপদ ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যায়। শিউলির বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পণের দাবি দাওয়ার জন্য শিউলির উপর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মী পুজোর দিন হঠাৎই প্রতিবেশীরা বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, শিউলির গায়ে আগুন লেগেছে এবং সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা তাঁর গায়ে জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেন।
এরপরই শিউলিকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায়। তবে শিউলির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়
।
ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে বিকেল নাগাদ শিউলির মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই শিউলির বাপের বাড়ির লোকজন তার শশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিউলির শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে।
এবিষয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।