একসঙ্গে পড়াশোনা, একসঙ্গে টিউশনে যাওয়া, তাই একজনের নাম যদি মেধাতালিকায় থাকত, খুশি হত না অপরজন। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পরই জোড়া সুখবর এল চন্দননগরের ঘোষ পরিবারে। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলেন যমজ বোন।ছোট বোন স্নেহা ঘোষ ৪৯৩ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন।
দিদি সোহা ঘোষের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। তিনি মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছেন। দুই বোন চন্দননগর কৃষ্ণভবানী নারী শিক্ষা মন্দিরের ছাত্রী। যমজ বোনের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া পরিবার-সহ পাড়াতে।দুই বোনের সাফল্যে গর্বিত মা বলছেন, ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি।
এতটা ভাল ফল হবে, আশা করিনি। আমরা চেষ্টা করতাম সাহায্য করার। তবে ওদের নিজেদের চেষ্টা ছিল অনেক বেশি।’ সোহা ও স্নেহা বলছেন, ৯৮ শতাংশের ওপর নম্বর পাবে, আশা করেছিল তারা কিন্তু মেধাতালিকায় নাম থাকবে, তারা ভাবতেও পারেনি।
সোহা সবসময় স্নেহাকে বলত, ‘৪৯০-এর ওপর পাবি।’ একে অপরের পাশে সবসময় থাকে তারা। তাই স্নেহা বলে, “নিজের নাম শুনে অতটাও খুশি হইনি, সোহার নামটা শোনার পর খুশি হলাম। ও পাশে না থাকলে তো কিছুই করতে পারতাম না।”