Monday, May 20, 2024
spot_img
Homeরাজ্যউচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

পরীক্ষার ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। বুধবার দুপুর ১টায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭,৯০,০০০। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৩৪১টি। এ বার পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৬,৭৯,৭৮৪ পরীক্ষার্থী।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৭,৬৪,৪৪৮। অর্থাৎ এবার পাশের হার ৯০ শতাংশে ঠেকেছে। গতবার পাশের হার ছিল ৮৯.২৫ শতাংশ। অর্থাৎ এবার পাশের হার সামান্য বেড়েছে।জেলা অনুযায়ী পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিম্পং, কলকাতা, তারপর উত্তর ২৪ পরগনা।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

কলা বিভাগে পাশের হার ৮৮.২ শতাংশ, বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৭.১৯ শতাংশ, বাণিজ্য বিভাগে পাশের হার ৯৬. ০৮ শতাংশ।এবার মেধাতালিকায় আছেন ১৫টি জেলার ৫৮ জন পড়ুয়া। গতবার প্রথম দশে ৮৭ জন পড়ুয়া ছিলেন।ছাত্র ৩৫ এবং ছাত্রী ২৩ জন। এর মধ্যে ১৩ জনই হুগলির। প্রথম দশে বাঁকুড়ার ৯ জন।তিনে আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৭ জন।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

চতুর্থ স্থানে কলকাতা। মেধাতালিকায় কলকাতার ৫ জন। পঞ্চম স্থানে পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর।মেধাতালিকায় এ বছর প্রথম হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ম্যাক উইলিয়ামস স্কুলের অভীক দাস।তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬( ৯৯.২ শতাংশ)। দ্বিতীয় হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

তৃতীয় হয়েছেন মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অভিষেক গুপ্ত। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।মেয়েদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন প্রতীচী তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ। সব মিলিয়ে চতুর্থ স্থানে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। প্রতীচী কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির এবং স্নেহা চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দিরের পড়ুয়া।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

তবে এদিন ফলাফল ঘোষণা হলেও মার্কশিট ও শংসাপত্রের হার্ডকপি হাতে পাওয়ার জন্য আর একটু অপেক্ষা করতে হবে তাদের। সংসদ জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মার্কশিট ও শংসাপত্র আগামী ১০ মে, শুক্রবার সংসদের ৫৫টি বিতরণকেন্দ্র থেকে স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। যা যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে স্কুলগুলিকে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পরে অনেকেই উত্তরপত্রে স্ক্রুটিনি বা রিভিউ করতে চান।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আবার সাধারণ স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সাধারণ স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সংশোধিত রেজাল্ট আসতে যতদিন সময় লাগবে, তার থেকে অনেক কম সময়েই ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’-র রেজাল্ট পাবেন পড়ুয়ারা।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

তবে সেজন্য বেশি টাকাও খরচ করতে হবে। আগামী ১০ মে দুপুর ২ টো থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। শেষ হবে আগামী ১৩ মে মধ্যরাতে। ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’-র জন্য ৬০০ টাকা লাগবে। প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে সেই টাকা দিতে হবে। আর ‘তৎকাল রিভিউ’-র ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের জন্য লাগবে ৮০০ টাকা।সব বিষয়ে ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’-র জন্য আবেদন করা যাবে।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

সর্বোচ্চ দুটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ‘তৎকাল রিভিউ’ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। অনলাইন আবেদন জমা পড়ার সাতদিনের মধ্যে ‘তৎকাল স্ক্রুটিনি’ এবং ‘তৎকাল রিভিউ’-র ফলাফল প্রকাশ করা হবে।তৎকাল ছাড়াও ১০ মে দুপুর ২ টো থেকে স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী ২৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

প্রতিটি বিষয়ের স্ক্রুটিনির জন্য ১৫০ টাকা লাগবে। প্রতিটি বিষয়ের রিভিউয়ের জন্য লাগবে ২০০ টাকা। ২৫ মে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। তার এক মাসের মধ্যে স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের ফলাফল প্রকাশ করবে সংসদ।এদিকে উচ্চ মাধ্যমিকে সফল ছাত্রছাত্রীদের বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও জানাই আমার অভিনন্দন। আগামী দিনে তোমরা আরও সফল হবে, দেশের নাম,

উচ্চ মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার

রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবে— এই প্রার্থনা করি। আর আজ যারা কোনও কারণে সফল হতে পারোনি, তাদের বলব ভেঙে না পড়ে মন দিয়ে চেষ্টা করো। আগামীতে তোমরাও সফল হবে। আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।’’

Most Popular

error: Content is protected !!