নির্বাচনী প্রচারে লাগাতার বঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট কাটাকাটি করতে বিজেপির পরিকল্পনা অনুযায়ী বাম-কংগ্রেস বিভিন্ন আসনে সমঝোতা করে প্রার্থী দিয়েছে, এমনই অভিযোগ তাঁর। সোমবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় নির্বাচনী সভা থেকে ফের সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
আগামী ৭ মে, লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফা ভোটে শামিল হবেন মুর্শিদাবাদের ভোটাররা। ওইদিনই আবার ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভোট দেবেন তাঁরা। ফলে দুই নির্বাচনের প্রচারেই সোমবার জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সিপিএম-কংগ্রেসের ‘ভোট কাটাকাটির পরিকল্পনা’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন।
তাঁর কথায়, ”কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, বাজপাখি সেলিম। উনি জিততে পারবেন না। বিজেপির পরিকল্পনায় এরা কোথাও সিপিএম, কোথাও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপিকে হারাতে নয়, তৃণমূলের পাকা আসনে জল ঢালতে এই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। বিজেপি দেখবেন এদের টাচ করে না। অথচ তৃণমূলের সব নেতানেত্রীকে কীভাবে হেনস্তা করা হয়।”
এর পর নেত্রীর আরও সংযোজন, ”একটায় দুটো ফ্রি। সিপিএম কিনলে কংগ্রেস আর কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি।” এদিনের সভা থেকে ইন্ডিয়া জোটের কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসের ভূমিকার সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”ইন্ডিয়া জোটে আমি আছি, ওই নাম আমিই দিয়েছিলাম। কিন্তু সিপিএম-কংগ্রেসের বন্ধ জোটে নেই।
কংগ্রেসকে বলেছিলাম, এখানে তোমাদের দুটো আসন দিচ্ছি। একার ক্ষমতায় লড়ো। কিন্তু শুনল না। মুর্শিদাবাদ, রায়গঞ্জ, মালদহে তৃণমূলের ভোটবাক্সে থাবা বসানোর লক্ষ্য়ে ওখানে প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছে। লাভ নেই। মনে রাখবেন, তৃণমূল প্রার্থীরা জিতলে আপনাদের জন্য কাজ করবে। ভোট কাটাকাটিতে যাবেন না।”
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার দুই আসনই রয়েছে রাজ্য রাজনীতির চর্চায়। একদিকে বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোমবার জঙ্গিপুরের সভা থেকে আবারও মমতা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছে শুধু তৃণমূলই।
পাশাপাশি এদিন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সভা থেকে দুই তৃণমূল সদস্য খুন নিয়ে মুখ খুলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর প্রশ্ন, কেন এবার সিবিআই বা এনআইএ এল না? অর্থাৎ ইঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে। সেই কারণেই সিবিআই বা এনআইএ আসেনি। বা বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থার দ্বারা তদন্তের আর্জি জানাননি।