বিশ্ব সমাচার, বারুইপুর: সপ্তাহের প্রথম দিনেই তীব্র দাবদাহে এলাকার বিধায়ককে নিয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ জনসংযোগ ও ভোট প্রচার করেন। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করে সোমবার সকালে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের হিমচি এলাকায় প্রচার করেন সায়নী।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক বিভাস সরদার, ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রফিকুল হাসান, বারুইপুর পূর্ব ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী প্রমুখ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় চলে নির্বাচনী প্রচার। কখনও হুড খোলা জিপে, কখনও টোটো গাড়িতে, কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার চলে।
প্রচারে মহিলা ও বাচ্চাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও মায়েরা বাড়িয়ে দিলেন কলের জল, তা খেয়ে তৃষ্ণা মেটালে সায়নী। কেউবা হাত বাড়িয়ে দিলেন পেপসি বরফ। তা খেতে খেতে সায়নী স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। সেলফি তোলার বিষয়ে যাদবপুরে বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সৃজনকে কটাক্ষ করে সায়নী বলেন, অনির্বাণ গাঙ্গুলী অথবা সৃজনের সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে চাইছে না।
তাই তাদের হয়তো খারাপ লাগছে। ক’দিন আগেও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গে কেউ কেউ কটাক্ষ করেছিল, কেউবা লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুণ করার কথা বলছে আবার কেউবা তিন হাজার টাকার কথা বলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আজ যা ভাবে, ভারতবর্ষ আগামীকাল সেটা ভাববে।
মূলত কাজ করে যেতে হবে। কাজই শেষ কথা। তিনি আরও বলেন, যখন প্রথম দিকে প্রচারে বেরিয়েছিলেন, সেই জনসংযোগ আর এখন যত দিন যাচ্ছে, জনসংযোগ তত বাড়ছে।সোমবার বিকেলে বারুইপুর পুরসভার ২ নম্বর ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
উপস্থিত ছিলেন বারইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দাস সহ বারুইপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডের পৌরমাতা ও পৌরপিতারা। বারুইপুর কলপুকুর থেকে সুবুদ্ধিপুর কল্যাণ সংঘের মাঠ হয়ে মাস্টার পাড়া এবং এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।
রাস্তা দু’ধারে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়েছিল। সায়নী ঘোষ তাদের প্রতি নমস্কার করেছেন, ছোটদের গলায় মালা পরিয়েছেন। আবার একটি ছোট্ট বাচ্চা ছেলে ‘আই লাভ সায়নী দিদি’ লিখে তাঁর হাতে তুলে দেয়। সেই ছোট্ট বাচ্চার গলায় একটি মালাও পরিয়ে দেন সায়নী দিদি।
