প্রদীপকুমার সিংহ, বারুইপুর: যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ সোমবার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মলয় চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্কুল থেকে ভোট প্রচার করার জন্য পদযাত্রা শুরু করেন। সেই প্রচার শেষ হয় বারুইপুর বাইপাসের ধারে মুক্তি সংঘের কাছে।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বারুইপুর বিধানসভা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাণী ও মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র, বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দাস, কল্যাণপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত মণ্ডল সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী ঘোষ বলেন, পহেলা বৈশাখ, রবিবার শওকত মোল্লার নেতৃত্বে বিশাল জনসভা ও পদযাত্রা হয়েছিল ভাঙড়ের মাটিতে। তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বহু মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এতেই বোঝা যাচ্ছে সেখানে কে জিতবে। এই তাপদাহে ভোট প্রচার সম্বন্ধে সায়নী ঘোষ বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাস ধরে প্রচার করছেন এই গরমের মধ্যে।
তাঁর কোনও গরম লাগে না। আর আমি তো তাঁর একনিষ্ঠ যুব সৈনিক। আমার তো গরম লাগবেই না।
যাদবপুরে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী দিনে সায়নী ঘোষ বিজেপিতে জয়েন করবেন। সেই কথার পরিপেক্ষিতে সায়নী বলেন, সৃজন ভট্টাচার্যের গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।
কিছু কিছু কথা বলে তাঁকে খবরে থাকতে হচ্ছে। এটা তাঁর দলের দায়বদ্ধতা। তিনি আরও বলেন, সিপিএম আগে বিধানসভা তে আসুক এবং বিরোধী দল হয়ে দেখাক, তারপর দিল্লিতে যাবে। দিল্লি বহু দূর। সায়নী বিরোধীদের বলেন, আমার সম্বন্ধে বাজে কথা বলে চারটি ভোট বেশি করতে পারবেন না।
২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অনেক কিছুই বলা হয়েছিল। মানুষ তার জবাব দিয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চপারে আয়কর বিভাগের তল্লাশি নিয়ে তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যতবার আয়কর বিভাগ ডেকেছে, ততবার উনি গেছেন। কিন্তু কোনও কিছুই মেলেনি। লবডঙ্কা।
এমনিতেও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর উপর মানুষের আশা, ভরসা নেই। প্রত্যেকবার আয়কর বিভাগ এই রকম তল্লাশি করে। তারপর কিছু পায় না। লোকের কাছে হাসির খোরাক হয়ে যাচ্ছে। অভিষেক নিজের লড়াই লড়ছেন মা মাটি মানুষের জন্য। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না।