Sunday, May 19, 2024
spot_img
Homeরাজ্য'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

‘মেয়েকে বাঁচান’, মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

স্টাফ রিপোর্টার : মেয়ে ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অবস্থা ভাল নয়। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না মা। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে মেয়েকে বাঁচানোর আর্জি জানাল পরিবার। রবিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের অনতিদূরে কলগাঙের বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়ে সুপ্রিয়া রায়কে (১৩) অসুস্থ অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।ওই নাবালিকার অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়ছিল। অভিযোগ, ওই দিনই কোনও রকম শারীরিক পরীক্ষা না করিয়ে সোজা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।

'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

সুপ্রিয়ার পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর নাবালিকার রক্তপাত হতে শুরু করে। সেই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে।রবিবার ভোরবেলা পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় তাঁদের মেয়ের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। আইসিউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

এরপরই বিক্ষোভ দেখান বাড়ির লোকজন। কাকতালীয় ভাবে বিশেষ কাজে এদিন হাসপাতালে আসেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।তাঁকে দেখতে পেয়েই কাঁদতে কাঁদতে তাঁর পায়ে পড়ে যান রোগীর মা। কাকুতি মিনতি করেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে বিরবাহার কাছে তাঁর মিনতি, ‘‘মেয়েটাকে বাঁচিয়ে দিন!’’

'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

প্রথমে অবাক হলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধাতস্থ হন মন্ত্রী। রিঙ্কুকে পা ছাড়িয়ে জড়িয়ে ধরেন। কানে কানে দেন সান্ত্বনা। অসহায় মাকে মন্ত্রী জানান, তিনি নিজে বাচ্চাটিকে দেখতে যাবেন। কথা বলবেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। যা যা করা প্রয়োজন, সব কিছুই করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন অসহায় পরিবারটিকে।

'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ভিতরে ঢুকে বাচ্চাটিকে দেখে এসেছি। সুপারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। চিকিৎসা যাতে ভাল করে হয়, তা নিশ্চিত করছি। মায়ের অসহায়তা আমি বুঝি।’’ এদিকে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, “বারবার এই ছবি দেখা যাচ্ছে।

'মেয়েকে বাঁচান', মন্ত্রীর পা ধরে আকুতি বাবা-মায়ের

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসা হয়েছে। উনি তো সাধারণ মানুষ। তাহলে কার উপর ভরসা করব?” যদিও, এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Most Popular

error: Content is protected !!