বান্টি মুখার্জি, ঝড়খালি: আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভ্রূকুটি। বুধবার সকাল থেকে মৎস্যজীবী ও পর্যটকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আগাম সতর্ক বার্তা দিতে মাইকিং প্রচার শুরু করলে ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ।
থানার আধিকারিক প্রদীপকুমার রায়ের নেতৃত্বে ঝড়খালি থানার বিভিন্ন নদীঘাট, বাজারহাট এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কিত সতর্কবাণী প্রচার করা হয়।মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে।
দুর্যোগের কালো মেঘ ঘনিয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে সুন্দরবনের নদী উত্তাল হতে পারে। সেই কারণে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবী ও সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের নিষেধ করা হচ্ছে ঝড়খালি কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে।পাশাপাশি থানা এলাকায় চলছে মাইকিং প্রচারও।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। বুধবারের মধ্যে সেই নিম্নচাপ অতিগভীর নিম্নচাপে বদলে যাবে বলে আশাঙ্কা। এরপর ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বাংলার উপকূলের দিকে যাবে।
এর জেরেই দুর্যোগ ঘনাচ্ছে সুন্দরবন তথা বাংলায়। উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক জেলায়। মুষলধারে বৃষ্টির সতর্কতা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়।
ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। অতিভারী বৃষ্টির জেরে সুন্দরবনের নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।
আগামী শনিবার পর্যন্ত পর্যটকদের সুন্দরবন বেড়াতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।