স্টাফ রিপোর্টার: ভাঙড়কাণ্ডে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল নেতা-কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃত আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৮ জনকে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে এক নাবালকও ছিল।
আদালত ওই নাবালক সহ সকলেরই জামিন খারিজ করে দেয়। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নাবালককে হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৭ জনকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাথখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকলকে আদালতে তোলা হবে।
রবিবার নওশাদের আইনজীবী ইয়াসিন রহমান জামিনের আবেদন করে জানিয়েছেন, শনিবার আইএসএফ কর্মীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বিধায়কও ছাড় পাননি। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে। বিধায়কের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। বিধায়ককে ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে। এঁরা সকলেই রাজনৈতিক কর্মী। তিনি আদালতে প্রশ্ন করেন যে, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন বলেই কি এসব করা হল?
সরকারি আইনজীবী সেই অভিযোগ মানেননি। তিনি জানিয়েছেন, বাংলা ‘শান্তির জায়গা’। ওঁরা যা করেছেন, সেটা ‘লজ্জাজনক’। সরকারি পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাই নওশাদদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর দাবি করেছেন তিনি।উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে এদিন ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল আইএসএফ কর্মীরা।পরে অবশ্য জমায়েত সরিয়ে দেয় পুলিশ।এদিন পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢোকার সময় নৌশাদ সিদ্দিকি হুঙ্কার দিয়ে জানিয়েছেন, ‘তিনি মানুষের জন্য লড়াই করবে’।