বিশ্ব সমাচার, নামখানা : কৌশিকি অমাবস্যার জেরে বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। শনিবার থেকে আগামী ৩ দিন সুন্দরবনের নদীমাতৃক এলাকা গুলিকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হল। সুন্দরবন এলাকার বহু নদী বাঁধ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এমনকি বহু নদী বাঁধ ভগ্ন অবস্থাতেও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
তবে শনিবার সকাল বেলা থেকে সুন্দরবন এলাকার বহু নদী বাঁধ পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। এদিন তিনি নদী বাঁধগুলি পরিদর্শনের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, “ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের সময় সুন্দরবন অঞ্চলের বহু নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেচ দপ্তর দায়িত্বের সঙ্গে সেই নদী বাঁধ গুলির মেরামতের কাজ করছে। তবে এই নদী বাঁধ মেরামতের কাজ করার ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলে, সেই সমস্যাগুলি শীঘ্রই সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতিবুনিয়া এলাকাটি বঙ্গোপসাগরের সম্মুখে অবস্থিত।
সেই কারণে ওই এলাকায় স্থায়ী নদী বাঁধ করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের চিন্তাভাবনা রয়েছে। এই এলাকার ৩৫৫০ মিটার নদী বাঁধ স্থায়ীভাবে করার একটা পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত রাজ্য সরকার ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ৩৫৫০ মিটার নদী বাঁধ স্থায়ী ভাবে মেরামত করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তবে তা সময় সাপেক্ষ।” এদিকে কিছুদিন পরই রয়েছে ভাদ্র মাসের ষাঁড়াষাঁড়ির কটাল। আর এই কটাল থেকে সুন্দরবন অঞ্চলকে বাঁচাতে বেহাল নদী বাঁধ গুলি শীঘ্রই মেরামত করার বিষয় নিয়ে, তিনি সেচ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। তবে এখন অমাবস্যার কটাল থাকায় নদীর জল বাড়তে পারে।
সেই কারণে সুন্দরবন অঞ্চলের নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে, মোকাবিলা করার জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দপ্তরে শনিবার থেকে কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে।