স্টাফ রিপোর্টার : 24 ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত বিশ্বভারতীর কর্মসচিব৷ করোনা পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী খুললেও ছাত্রাবাসগুলি খোলেনি৷ দূর-দূরান্ত থেকে এসে বহু পড়ুয়া ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে এই বিশ্বভারতীতে৷ তাই ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় আন্দোলন, ডেপুটেশন কর্মসূচি চলছিল৷ 28 ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে একই দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী।পরে কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতোকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা৷
দাবি না মানায় রাতভর ঘেরাও থাকেন তিন আধিকারিক। মঙ্গলবার বেলার দিকে 24 ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতো। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা ঘেরাও হয়ে নেই৷ যেকোন জায়গায় যেতে পারেন৷ নিজেদের কাজ করতে পারেন।
ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পর কর্মসচিব জানিয়েছেন, বাইরে প্রচুর আন্দোলনরত পড়ুয়া জড়ো হয়ে রয়েছেন৷ তাই আতঙ্কে তিনি বাইরে বেরোচ্ছেন না৷ তবে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে সোমনাথ সৌ বলেন, “আন্দোলন চলবে। তবে রেজিস্ট্রার যেকোন জায়গায় যেতে পারেন। আমরা তাঁকে ঘেরাও করে রাখিনি।”