Tuesday, April 30, 2024
spot_img
Homeজেলাহাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

বান্টি মুখার্জি, ক্যানিং: রাতের অন্ধকারে হাতমুখ বাঁধা অচৈতন্য অবস্থায় এক গৃহবধূকে উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালে ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বয়ারসিং এলাকায়। ওই বধূ বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যদিও ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরতিনেক আগে পূর্ব বয়ারসিং গ্রামে রহিম শেখের মেয়ে রেজিনা শেখের সঙ্গে পূর্ব শিবনগর গ্রামের আবু জাফর সরদারের বিয়ে হয়।

হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক অত্যচার করার অভিযোগ উঠেছে ভাশুর মোফিজুল, আবু তাহের, মনিরুল সরদারের বিরুদ্ধে। পেশায় ভ্যানচালক আবু জাফর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই চলে আসেন। সেখানেই বসবাস শুরু করেন। দম্পতির এক পুত্রসন্তান রয়েছে।আরও অভিযোগ, যাতে আবু জাফর স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে না পারে, তার জন্য কিছুদিন আগে ওই বধূর বাপের বাড়িতে চড়াও হয় ভাশুররা।

হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

তাঁর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। যদিও চিকিৎসকদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান বধূ।এ বিষয়ে গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।অভিযোগ, রবিবার ওই বধূ বাপের বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে তাঁর প্রতিবন্ধী বাবা ছিলেন না।স্বামী গিয়েছিলেন ভ্যান চালাতে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওই বধূর মা পাড়ার দোকানে গিয়েছিলেন ডিম কিনতে।

হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

ছোট সন্তানকে বোনের কাছে দিয়ে বাড়ির পিছনে শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় সুযোগ বুঝে কালো কাপড় মুখে বাঁধা দুই ব্যক্তি শৌচালয় থেকে বধূকে জাপটে ধরে।কাপড় দিয়ে বধূর মুখ চেপে ধরে দু’হাত বেঁধে বাড়ির পিছনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অচৈতন্য হয়ে যান ওই বধূ। ওই বধূর মা বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। প্রতিবেশীরাও দৌড়ে আসেন। পরে গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশও হাসপাতালে হাজির হয়। তদন্ত শুরু করে।

হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

বধূর অভিযোগ, সংসার করতে দেবে না বলেই ভাশুররা আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে এমন কাজ করেছে। কাপড়ের মধ্যে ওষুধ জাতীয় কিছু ছিলে। যার ফলে মুখ বেঁধে দেওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ওদের চরম শাস্তি চাই। বধূর বাবা জানিয়েছেন, আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। ভিক্ষা করেই জীবিকা নির্বাহ করি।

হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় অচৈতন্য বধূ উদ্ধার ক্যানিংয়ে, অভিযুক্ত ভাশুররা

আমার মেয়ের সংসার ভেঙে দেওয়ার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জামাইয়ের ভাইয়েরা।ওদের চরম শাস্তি চাই। অন্যদিকে, স্ত্রীর এমন ঘটনায় আবু জাফর সরদার বলেন, আমি শ্বশুরবাড়িতেই থাকি, তা দাদাদের পছন্দ নয়।যার ফলে দাদারা আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল। ওদের চরমতম শাস্তি চাই।

Most Popular