বিশ্ব সমাচার, ক্যানিং: প্রকাশ্য দিনের বেলায় দু’টি বাড়িতে চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ক্যানিংয়ের দিঘির পাড়ে। যদিও এক গৃহবধূ দৌড়ে গিয়ে চোরকে ধরে ফেলেন।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ক্যানিং থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দিঘিরপাড় এলাকায়। চুরি হয়েছে বাপি শাসমল ও শ্যামল কয়ালের বাড়িতে। পৃথক দু’টি চুরির ঘটনায় ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সকলের অলক্ষ্যে চোরেরা বাপি শাসমলের বাড়িতে ঢুকে টাকা, সোনার গয়না সহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শ্যামল কয়ালের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে এদিন সকাল ১১টা নাগাদ বাড়িতে দরজায় চাবি তালা দিয়ে রায়বাঘিনী মোড়ে গিয়েছিলেন শ্যামলবাবুর স্ত্রী পূরবী পাটারী কয়াল।
সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সুযোগ বুঝে রাস্তায় বাইক রেখে চারজন চোর ছাদে উঠে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঘরে ঢুকে সমস্ত লাইট জ্বালিয়ে ফেলে। এরপর ঘরে থাকা শিলনোড়া দিয়ে আলমারি ভেঙে নগদ টাকা,মোবাইল ফোন ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় বাড়িতে ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। তিনি ঘরে ঢুকেই আলো জ্বলতে দেখে অবাক হয়ে যান।
পরে ঘরের মধ্যে ভাঙা আলমারি এবং সমস্ত জিনিসপত্র ওলটপালট পড়ে রয়েছে দেখে সন্দেহ করেন যে, চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই মুহূর্তে এক চোর বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। নজরে পড়ে ওই গৃহবধূ পূরবীর। তিনি চিৎকার করে চোরের পিছনে দৌড়তে থাকেন। গৃহবধূর চিৎকারে পাড়ার লোকজনও দৌড়ে আসেন।
ততক্ষণে চোর বাবাজি একটি পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডুব দেয়। গ্রামবাসীর ধরে ফেলেন তাকে। উত্তমমধ্যম দিয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, চুরি করতে আসা যুবকের নাম মহম্মদ কাসেম। তার বাড়ি রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার সন্তোষপুরে।
পালিয়ে যাওয়া অন্যান্য চোরেদের হদিশ পেতে ক্যানিং থানার পুলিশ ধৃতকে জিঞ্জাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, প্রকাশ্য দিনের বেলায় পর পর চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।