স্টাফ রিপোর্টার : গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের পরে এবার মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু থানার আধিকারিকরা সিবিআইয়ের নজরে।বিশেষ করে সাতটি থানা এলাকার উপর দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হতে গরু, তদন্তে নেমে এমনই জানতে পেরেছে সিবিআই। প্রথমে এনামুল হক ও পরবর্তী সময়ে আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে সমস্ত কিছু দেখভাল করত।
বেশ কিছু থানার পুলিশ তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। সেখানে মোটা টাকার ডিল হত।তদন্তে নেমে বেশ কিছু কল লিস্ট থেকে এরকম একাধিক তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এমনকি সিবিআইয়ের অনুমান, আব্দুল লতিফ মুর্শিদাবাদ বর্ডার হয়ে বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে পারে।
আব্দুল লতিফ ঘনিষ্ঠ বেশকিছু গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত পুলিশকর্মীদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে সন্দেহ সিবিআই-এর।সেই সমস্ত পুলিশকর্মী এবং আব্দুল লতিফ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। পরবর্তী সময় সেই সমস্ত পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, বীরভূম থেকে নদিয়া, অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর থেকেই গরু পাচার কাণ্ডে জোরকদমে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। আর সেই সূত্রেই ‘ভোলে ব্যোম’ রাইস মিলে নজর পড়েছে সিবিআই-এর।গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিকবার এই রাইস মিলের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
এবার সেই সূত্রেই এই রাইস মিলে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে ঢুকতে গেলেই বাধা দেয় রাইস মিলের তদন্তকারীরা। আর সেখানে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ সিবিআই-এর। দেখা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে দামিদামি গাড়ির সারি।
দেশি, বিদেশি গাড়ির সারি দেখে চমকে ওঠে সিবিআই।সিবিআই সূত্রে খবর, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কাছেই আরও একটি রাইস মিলের সন্ধান মিলেছে। বোলপুরের শঙ্কর রাইস মিল। একেবারে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের পেছনেই রয়েছে এই রাইস মিল। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।
আপাতত দৃষ্টিতে দেখে মনে হবে, রাইস মিলে উৎপাদন কাজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই রাইস মিলের কর্মীরা আসেন এবং প্রতিনিয়ত আলো জ্বালানো হয় সন্ধ্যায়। কিন্তু, এই রাইস মিলের মালিক কে ? তা জানাতে চাননি স্থানীয়রা। এনিয়েই এবার তদন্তে নেমেছে সিবিআই।