রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।রাজ্যপালকে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল। যদিও শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘‘দিদিগিরি বরদাস্ত করব না।’’
সেই মন্তব্যের এবার পাল্টা জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে শনিবার আদিসপ্তগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় রাজ্যপাল, আমার কী দোষ আপনি বলুন। আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। আমাকে বলছেন, দিদিগিরি চলবে না।
রাজ্যপাল আপনার তো পদত্যাগ করা উচিত। মহিলাদের নির্যাতন করার আপনি কে? কাল নাকি প্রেসকে ডেকেছিল। এডিট করে ভিডিও দেখিয়েছে। কপিটা আমার কাছে আছে। পেয়েছি এক জায়গা থেকে। যেটা এডিট করেছেন, সেটাও আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরয়নি। আরেকটা ভিডিও পেলাম। পেন ড্রাইভে।
আরও কীর্তি কেলেঙ্কারি। কীর্তির পর কীর্তি। কেলেঙ্কারির পর কেলেঙ্কারি। বাবা রে! আমাকে এখন রাজভবনে ডাকলে আমি আর যাব না। রাজভবনে আমি আর যাচ্ছি না ভাই। রাস্তায় ডাকলে যাব। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমাকে রাস্তায় ডাকবেন। রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব। যা কীর্তি কেলেঙ্কারি শুনছি। আপনার পাশে বসাটাও পাপ।”
সন্দেশখালি নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘ওখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। একটা মেয়ের আত্মসম্মান চলে গেলে আর ফিরে আসে না। সে জানেও না, তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা আগেকার দিনে হত। বেচারা জানতেই পারত না।’’এ বার ভোটে মোদী সরকারের পতন হবে বলে সপ্তগ্রামের সভা থেকে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, ‘‘তৃতীয় দফার পর তো চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছে। আরও দেখতে থাকুন।ফোন করে আমাদের নেতাকে বলেছে, যদি বসে না যাস তা হলে ভোটের পর দেখে নেব। তৃণমূল কাউকে ভয় পায় না। ৩৪ বছর লড়াই করে সিপিএমকে যদি ছুড়ে ফেলতে পারি, তা হলে আপনাকেও ভারতবর্ষ থেকে ছুড়ে ফেলে দেব, এটা মাথায় রাখবেন।’’
মমতা বলেন, ‘‘বলছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার তুলে দেব। আমি বলি, হাতটা দিয়ে দেখো, তার পর কী করি… সারা জীবন আমি কম মার খাইনি। কিন্তু আমাকে ধমকে, চমকে কাজ হবে না। আপনি যদি চমকে বলেন, এটা করতে হবে, ঠাসিয়ে দুটো চড় মারব। আমি ঘরেও শাসন করি, বাইরেও করতে পারি।’’
পাশাপাশি সভায় মমতা বলেন, ‘‘রচনা ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল না। আমাকে বলেছিল, দিদি আমি কোনও দিন রাজনীতি করিনি। আমি ওকে বলি, আমরা কেউই বুঝতাম না। মানুষের কাজ করাই হল আসল কথা।
আর এখানে দাঁড়ালে তোমার সুবিধাই হবে। দিদি নম্বর ওয়ানে আরও অনেক কিছু করতে পারবে। রচনাকে রাজি যখন করালাম, আপনারা কি ওকে ভোটটা দেবেন না?’’