পড়াশোনার ভয়ংকর চাপ থেকে মুক্তি পেতে মা-বাবাকে মোবাইলে বার্তা দিয়ে নিরুদ্দেশ হলেন ‘কোটা ফ্যাক্ট্রি’র এক ছাত্র। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন ১৯ বছরের যুবক। যদিও মাঝপথে ঘর ছাড়লেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরুদ্দেশ হওয়া ছাত্রের নাম রাজেন্দ্র মিনা।
বামনওয়াসের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। রাজেন্দ্রর বাবা জগদীশ মিনা ছেলে নিখোঁজের ডাইরি করেছেন। যুবক রাজেন্দ্রই নাটকীয়ভাবে মোবাইল মেসেজে নিরুদ্দেশ হওয়ার বার্তা দেন মা-বাবাকে। রাজেন্দ্রে লেখেন, ‘আমি ঘর ছাড়ছি এবং আর পড়াশোনা করতে চাই না। আমার কাছে ৮ হাজার টাকা আছে। পাঁচ বছরে জন্য নিরুদ্দেশ হচ্ছি।
মোবাইল ফোনটা বিক্রি করে দেব আমি। সিম কার্ড ভেঙে ফেলব। মাকে বলে দিও আমার জন্য যেন চিন্তা না করে। আমি কোনও ভুল পদক্ষেপ করব না। সবার নম্বর রয়েছে আমার কাছে। প্রয়োজন হলে আমিই ফোন করব। অবশ্যই এক বছরে অন্তত একবার ফোন করব।’ জগদীশ মিনা জানান, ৬ মে থেকে নিখোঁজ ছেলে রাজেন্দ্র।
ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ কোটার পিজি ছেড়ে দেয়। ছেলের মেসেজ পেয়ে খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ওই ছাত্রের। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় নতুন করে কোটার কোচিং সেন্টারগুলির পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শিক্ষার্থীদের কতখানি চাপ তথা প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলা হয়, তাও স্পষ্ট।উল্লেখ্য, কোটায় লাগাতার আত্মহত্যার ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।। গত বছর কোটায় পড়তে এসে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ২৭ জন পড়ুয়া।এবার নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনা ঘটল।