খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়।যদিও রাজভবনের তরফে এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে।পাশাপাশি রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে পুলিশি বার্তাকে যেন উপেক্ষা করা হয়।
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা (সিট) হয়েছে। সেই তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে সিভিটিভি ফুটেজ চেয়ে রাজভবনের ওসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
যদিও রাজভবনের তরফে সেই ফুটেজ দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালকে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এসব টানাপোড়েনের মাঝে এবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ রাজভবনের।বাংলার জনগণের আদালতেই নিজের বিচার চান বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
রাজভবনের ভেতরে সেদিনের সিসি ফুটেজ জনতাকে দেবেন তিনি।কিন্তু রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশকে এই ফুটেজ তিনি দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার রাজ ভবনের তরফে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে।
তাতে জানানো হয়েছে, একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলার যেকোনও প্রান্তের যে কোনও ইচ্ছুক নাগরিক ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখার জন্য নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল বোসই। অনুষ্ঠানের নাম ‘সচ কা সামনে’ যাঁর বাংলা তর্জমা ‘সত্যের মুখোমুখি হওয়া’।
রাজ ভবনের তরফে ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই ফুটেজ দেখানোর সিদ্ধান্ত এই জন্যই নেওয়া হয়েছে, যাতে এমনটা না মনে হয় যে, রাজ ভবন ওই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। কিন্তু রাজভবন এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা ‘অসত্য’ অভিযোগ নিয়ে রাজনীতিবিদ মমতা এবং তাঁর পুলিশ যে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে তাঁদের ওই ফুটেজ দেখানো হবে না।
রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান, তাঁরা রাজভবনে ইমেল পাঠাতে পারেন। [email protected] এবং [email protected] –এ।অথবা রাজভবনের নম্বর ০৩৩-২২০০১৬৪১-এ ফোন করেও নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন।
প্রথম ১০০ জন রাজভবনের ভিতরে ওই ফুটেজ দেখার সুযোগ পাবেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজভবনে দেখানো হবে ওই সিসিটিভি ফুটেজ।