টানা দুদিনের সংঘাত পর্বের পর শনিবার কুণাল ঘোষের মানভঞ্জনে তৎপর হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের পরই আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন কুণাল৷ যা লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল৷
শেষ পর্যন্ত কুণালকে বোঝাতে শনিবার তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ সেই বৈঠকে জল গলে অনেকটাই। আর রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একদিকে যেমন সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি, অপরদিকে জানিয়েও দিলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন।
এদিন কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে সন্দেশখালির এই ঘটনায় অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে তদন্ত শুরু করুক, এটাই দাবি তাঁর। ভাইরাল ওই ভিডিওতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কুণাল ঘোষ।
বিষয়টি যাতে শুধু রাজনৈতিক তরজায় আটকে না থাকে, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে ফের আগের মতো আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। স্টিং ভিডিও নিয়ে তাঁর মত, বিজেপির যে ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সরকার এবং সমাজবিরোধী চক্রান্ত। রাজ্যের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে।
তাই এই ভিডিও আইনের আওতায় আসুক। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সন্দেশখালির মতো সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে আমি প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলাম। বলে আসছিলাম, নারী নির্যাতনের অভিযোগগুলি অসত্য। তখন অনেকেই আমার সমালোচনা করেছিলেন। এখন তার প্রমাণ হাতে এসেছে। মানুষের কাছে সবটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।’’